মিশরের শার্ম আল শেখ নগরীতে রোববার কোপ ২৭ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে। যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক অস্থিরতায় বিপর্যস্ত বিশ্বে ক্রমবর্ধমান ভয়াবহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশ এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছে।
গত কয়েক মাসে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত আবহাওয়া বিপর্যয় বন্যা ও ভূমিধসে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। পাকিস্তান এবং নাইজেরিয়ায় ব্যাপক বন্যা, আফ্রিকা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র খরা, ক্যারিবীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় এবং তিন মহাদেশ জুড়ে নজিরবিহীন তাপপ্রবাহ বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।
শারম আল শেখের লোহিত সাগর রিসোর্টে ১৩ দিনের এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘রিপোর্টের পর রিপোর্টে জলবায়ু পরিবর্তনের একটি পরিষ্কার ও অন্ধকার চিত্র পাওয়া যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘কোপ ২৭ সম্মেলনে অবশ্যই এখন এই গুরুত্বপূর্ণ দশকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অনেক দ্রুত এবং সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে, বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের এই যুদ্ধে হয় আমরা জয়ী হবো, নয়তো আমরা হেরে যাবো।’
সুনির্দিষ্টভাবে এই লড়াইয়ের অর্থ হল ১৯ শতকের শেষের দিকের স্তরের (১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস) উপরে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বৈশ্বিক উষ্ণতা সীমাবদ্ধ করতে হবে এবং এ জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউজ নির্গমন ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে।
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, এই প্রান্তিকের বাইরে উষ্ণায়ন হলে তা পৃথিবীকে বসবাসের অযোগ্য একটি হটহাউসের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, বর্তমান প্রবণতাগুলি অব্যাহত থাকলে দশকের শেষ নাগাদ কার্বন দূষণ ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং পৃথিবী পৃষ্ঠের উষ্ণতা ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বৃদ্ধি পাবে।
প্যারিস চুক্তির অধীনে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতিগুলি যদি বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে শুধুমাত্র এক ডিগ্রির কয়েক দশমাংশ তাপমাত্রা বৃদ্ধি হ্রাস পাবে।
নদী বন্দর/এএম