শেষ পর্যন্ত ভাঙতেই হচ্ছে পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের দুটি পিলার। জাজিরা প্রান্তের পিলারে খুঁটি বাড়িয়ে সংশোধন করা গেলেও মাওয়া প্রান্তে পিলার ভাঙার কোনো বিকল্প নেই রেল মন্ত্রণালয়ের হাতে। চলতি সপ্তাহে এমন সংশোধিত নকশাই তারা জমা দিয়েছে সেতু মন্ত্রণালয়ে। এর ফলে দূর হতে যাচ্ছে পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে রেল ভায়াডাক্টের পিলারের নকশা নিয়ে অনিশ্চয়তা।
জটিলতা দেখা দেয় গত বছরের জুলাই মাসে। সড়ক থেকে সেতুতে গাড়ি ও ট্রেন ওঠার জন্য যে ভায়াডাক্ট নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে সেতুর দুই প্রান্তে রেলের দুটি করে ৪টি পিলারে মেলে ত্রুটি। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী রেলের পিলারগুলোর নিচ দিয়ে সেতুতে গাড়ি উঠতে হলে পিলারে যে ১৫ দশমিক ৫ মিটার উচ্চতা ও ৫ দশমিক ৮ মিটার প্রস্থ থাকা দরকার তা নেই। বিষয়টি জানার পরই ত্রুটিপূর্ণ এলাকায় রেলের কাজ বন্ধ করে দেয় সেতু মন্ত্রণালয়।
এ নিয়ে গত ৬ মাসে জল ঘোলা হয়েছে অনেক। একটি সংশোধিত নকশা রেল মন্ত্রণালয় জমা দিলেও সেটি প্রত্যাখ্যান করে সেতু মন্ত্রণালয়। পরে বুয়েটের সহযোগিতায় ৩১ ডিসেম্বর জাজিরা প্রান্তের ত্রুটিপূর্ণ ২টি পিলারের প্রতিটিতে বাড়তি দুটি করে খুঁটি যোগ করে একটি নকশা জমা দেয় রেল মন্ত্রণালয়। এবার চলতি সপ্তাহে মাওয়া প্রান্তের জন্য জমা দিয়েছে আলাদা নকশা। তবে এ নকশায় সেতু মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী পিলারের উচ্চতা আর প্রস্থ নিশ্চিত করতে ভাঙতে হবে দুটি পিলার।
পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প প্রকল্প পরিচালক গোলাম ফখরুদ্দিন বলেন, উনাদের মতামত পেলে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেব ভাঙতে হবে কিনা। আমাদের কন্ট্রাক্টর ড্রইংটা দিয়েছে, এখন উনারা কী মতামত দেয়, তার ওপর ডিফেন্ড করে। আমরা ডিটেইলস ডিজাইন এখনো পাইনি। কন্ট্রাকটরকে ডিজাইনটা বিবিএ (বাংলদেশ ব্রিজ অথরিটি) ওকে করে দিয়েছে। সে অনুযায়ী ডিজাইন করছে, তার পরে বলতে পারব।
মাওয়া অংশে ভায়াডাক্টের ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলার দুটি ভাঙতে এর মধ্যেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। এ দুটি পিলারের নিচ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে মাটি। সংশোাধিত নকশায় সেতু মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া গেলেই শুরু হবে ভাঙার কাজ।
নদী বন্দর / এমকে