গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে মাটি এনে উপকূলে গড়ে তোলা হয়েছে ৩১ হাজার একরের নতুন ভূমি। তবে লক্ষ্যমাত্রায় রয়েছে আরো অন্তত ২০ হাজার একর। এভাবেই সাগরের মাটিতে তিলে তিলে গড়ে উঠছে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পনগর। এখানেই গড়ে তোলা হবে কয়েক হাজার শিল্পকারখানা।
মাত্র দুই বছর আগে ৫০০ একর নতুন ভূমি পাওয়ার আশা নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল এই প্রকল্পের। কিন্তু দিন যতই গড়াচ্ছে, ততই চিত্র পাল্টে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরের। কোথাও স্টিল স্ট্যাকচারে, আবার কোথাও পাকা ভিতের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠছে শিল্পকারখানার স্থাপনা।
বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটির চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, সাগরের মাটি দিয়ে ভূমি তৈরি হতেই বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানকে। ইতোমধ্যে একক দেশ হিসেবে ভারতকে এক হাজার ২০০ একর, সংস্থা হিসেবে বেপজাকে এক হাজার ১৫০ একর, বিজিএমইএ, বসুন্ধরা এবং পিএইচপিকে দেওয়া হয়েছে ৫০০ একর করে জায়গা। একইভাবে এখানে অন্তর্ভুক্ত হবে ফেনী, নোয়াখালী এবং সন্দ্বীপের কিছু অংশ।
ড্রেজারের মাধ্যমে সাগর থেকে আনা মাটি সমান করা হচ্ছে। আবার সেই মাটি সমান করতে কাজ করছে শত শত সাধারণ ট্রাক, ড্রাম ট্রাক এবং বুলডোজারের মতো ভারী যন্ত্রপাতি। তবে শিল্পকারখানা স্থাপনে অগ্রগতির জন্য অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলোও দ্রুত নিশ্চিতের দাবি বিনিয়োগকারীদের।
বাংলাদেশ ম্যাকডোনাল্ড স্টিল মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, বিনিয়োগের জন্য যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন সেগুলো দ্রুতই নিশ্চিত করতে হবে।
আগামী ৭ থেকে ৮ বছরের মধ্যে ১০০টি ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। প্রথম পর্যায়ে ১১টি ইকোনমিক জোন ২০২৩ সালে উৎপাদনে যাবে, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০৩০ সালে ২৮টি এবং ২০৪১ সালে সব ইকোনমিক জোনকে উৎপাদনে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
নদী বন্দর / পিকে