আগামি ২৬ জানুয়ারির মধ্যে দেশে আসছে সেরামের ভ্যাকসিন। ভারত সরকার উপহার হিসেবে কিছু ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে দেবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটে সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ফাইজারের টিকা সংরক্ষণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ভারত সরকার যে দামে ভ্যাকসিন নেবে আমরাও একই দামে ভ্যাকসিন পাবো। সারা দেশে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেয়ার জন্য বাড়তি এক ডলার পাবে বেক্সিমকো।
ভ্যাকসিন আসার এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োগ শুরু করা যাবে বলেও উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
নীতিমালা মেনে প্রাইভেট সেক্টরে যেকোনো প্রতিষ্ঠান চাইলেই ভ্যাকসিন আনতে পারবে। তবে দামে সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকবে বলে জানান মন্ত্রী।
গ্লোব বায়োটেকের ভ্যাকসিন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গোভ্যাক্সকে সাধুবাদ জানাই। পরবর্তী ধাপগুলোতে প্রয়োজনে যেকোনো সহায়তা দেবে সরকার।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি করেন দেশের হাসপাতালে ৮০ শতাংশ জেনারেল বেড ও ৫ শতাংশ আইসিইউ বেড খালি আছে।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিথ্যা সংবাদ বা তৈরি করা সংবাদ প্রচার না করে সঠিক সংবাদ প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ‘সংবাদ পরিবেশন করলে মানুষ সচেতন হয়, সরকার সচেতন হয়। সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিন্তু কিছু কিছু লোক আছেন, তারা সংবাদ তৈরি করেন। সংবাদ তৈরি করে বিক্রয় করার চেষ্টা করেন।’
এদিকে চীন ও রাশিয়া বাংলাদেশকে করোনার টিকা দেবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, চীন ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে, রাশিয়া দিতে চাচ্ছে, আমরা সব দরজা খুলে রেখেছি। ফাইজার কোম্পানি আমাদের কিছু ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেবে। এটা চার লাখ মানুষকে দেওয়ার মতো।
নদী বন্দর / জিকে