বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের সম্পত্তি আদালত কর্তৃক ক্রোকের আদেশ ফরমায়েশি এবং প্রতিহিংসা পরায়ণ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মোশাররফ বলেন, ‘১/১১-এর সময় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওযা হয়েছিল। সে সময় ষড়যন্ত্রমূলক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র তারেক রহমানের স্ত্রী ও জিয়া পরিবারের সদস্য হওয়ায় জোবায়দা রহমানকে মিথ্যা মামলার আসামি করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘আজ এমন এক সময়ে জোবায়দা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের ফরমায়েশি আদেশ দেওয়া হলো, যখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিপ্লব ও গণ আন্দোলন চলছে। এ আন্দোলনে ভীত হয়ে আন্দোলনকারীদের হত্যা করা হচ্ছে।

বাধা, প্রতিবন্ধকতা, গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা, বিপুল দমন-পীড়ন চালিয়েও আন্দোলন নস্যাৎ করতে পারছে না, জনস্রোত ঠেকাতে পারছে না। তাই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যে মামলায় হয়রানি করে নেতাকর্মী ও জনসাধারণের মনোবল বিনষ্ট করতেই এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, বিএনপির চলমান আন্দোলনকে নেতৃত্বশূন্য করতে প্রতিহিংসাপরায়ণভাবে মিথ্যে, বানোয়াট, কাল্পনিক অভিযোগ মামলা ও রায় দিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন যেন আজ বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, যে সব সম্পত্তির মালিক তারেক রহমানের নন, কোনো দলিলে বা চুক্তিতে যেখানে তারেক রহমানের নাম, সই বা সংশ্লিষ্টতা নেই সেসব সম্পত্তির গায়েবি মালিক বানিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তা অবান্তর, ভিত্তিহীন, অমূলক। যে আদেশ দেওয়া হয়েছে তা প্রতিহিংসামূলক ফরমায়েশি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সরকারের হীন এ কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে। সরকারকে এসব ষড়যন্ত্র পরিত্যাগ করে সুষ্ঠু রাজনীতির ধারায় ফিরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, এসব মামলা, আদেশ, রায় দিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ, বিতর্কিত বা জোবায়দা রহমানকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারবে না। একই সঙ্গে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় চলমান আন্দোলন বিভ্রান্ত বা নস্যাৎ করতে পারবে না।

অবিলম্বে দলের তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে এ আদেশ ও রায় বাতিল করার দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, উপদেষ্টা এ জে মোহাম্মদ আলী, আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু ও নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।

নদী বন্দর/এসএইচ