1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী আজ - Nadibandar.com
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সাধারণ নির্বাচনকে ‘সর্বশ্রেষ্ঠ ও ঐতিহাসিক’ করতে চায় সরকার দেশে এইচএমপি ভাইরাস শনাক্ত ক্লিনিক থেকেই দেশবাসীর কথা জানতে চাইলেন খালেদা জিয়া অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে খর্ব করেনি: প্রেস সচিব চলচ্চিত্র শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে সহযোগিতা করবে সরকার: উপদেষ্টা নাহিদ এবার টিউলিপকে বরখাস্তের আহ্বান জানালেন যুক্তরাজ্যের বিরোধী নেতা বিজিবির শক্ত অবস্থানে ভারত বেড়া নির্মাণ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে ‘নিরাপদ খাদ্য ও নির্মল বাতাসের জন্য ছাদ বাগানের বিকল্প নেই’ নির্বাচন হলে সব সংকট কেটে যাবে: মির্জা ফখরুল অন্তর্বর্তীকালীন দা‌য়িত্ব পালনে ঢাকায় ট্র্যাসি জ্যাকবসন
নদী বন্দর ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২১
  • ১১০ বার পঠিত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি তিনি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করে।

জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন এবং ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন।

বাবার চাকরির কারণে জিয়াউর রহমান কলকাতার হেয়ার স্কুলে লেখাপড়া করেন। ভারতবর্ষ ভাগের পর তার বাবা পরিবার নিয়ে পাকিস্তানের করাচি চলে যান। তখন জিয়াউর রহমান করাচি একাডেমি স্কুলে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি ১৯৫২ সালে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে ১৯৫৩ সালে করাচির ডি. জে. কলেজে ভর্তি হন। একই বছর তিনি কাকুল মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন।

১৯৫৩ সালে তিনি কাকুল পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৫ সালে তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশনপ্রাপ্ত হন। সামরিক বাহিনীতে তিনি একজন প্যারাট্রুপার ও কমান্ডো হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন এবং স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স কোর্সে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন।

করাচিতে দুই বছর চাকরির পর ১৯৫৭ সালে জিয়াউর রহমান ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে বদলি হয়ে আসেন। তিনি ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেন। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে একটি কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে খেমকারান সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এই যুদ্ধে বীরত্বের জন্য পাকিস্তান সরকার জিয়াউর রহমানকে হিলাল-ই-জুরাত খেতাবে ভূষিত করে।

১৯৬৯ সালে মেজর পদে উন্নীত হয়ে জিয়াউর রহমান জয়দেবপুরে সেকেন্ড ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পদের দায়িত্ব লাভ করেন। অ্যাডভান্সড মিলিটারি অ্যান্ড কমান্ড ট্রেনিং কোর্সে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য তিনি পশ্চিম জার্মানিতে যান এবং কয়েক মাস ব্রিটিশ আর্মির সঙ্গেও কাজ করেন।

১৯৭০ সালে একজন মেজর হিসেবে জিয়াউর রহমান দেশে ফিরে আসেন এবং চট্টগ্রামে নবগঠিত অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পদের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে প্রথমে তিনি ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার নিযুক্ত হন এবং চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, রাঙামাটি, মিরসরাই, রামগড়, ফেনী প্রভৃতি স্থানে মুক্তিযুদ্ধ করেন। জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১১ নম্বর সেক্টরের ও জেড ফোর্সের কমান্ডার হিসেবে তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। পরে স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বের জন্য তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। বেলা ১১টায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। দুপুর ১২টায় দলের বিভিন্ন ইউনিট এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সেখানে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন।

দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় বিকেল ৩টায় ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় দেশব্যাপী জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দও সংযুক্ত থাকবেন।

নদী বন্দর / এমকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com