কোটা থাকা সত্ত্বেও সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধীদের বঞ্চিত করা সংবিধান পরিপন্থী ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা থাকলেও তাদের চাকরি থেকে বঞ্চিত করার বিষয়টি বৈষম্যের জন্ম দেয়, যা সংবিধান পরিপন্থী ও মানবাধিকার লঙ্ঘন।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) কারওয়ান বাজারে কমিশন ভবনে প্রতিবন্ধী চাকরি প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন তিনি।
এদিন ২০২০ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রতিবন্ধী চাকরি প্রত্যাশীরা কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
তাদের মধ্যে কামাল হোসেন পিয়াস নামের একজন চাকরিপ্রত্যাশী মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যানকে জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগের ফলাফল ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশ হয়। এতে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে নির্বাচন করা হয়। এই নিয়োগে নারী ও পোষ্য কোটা থাকলেও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোনো কোটা রাখা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী আরেকজন সাজ্জাদ হোসেন সাজু বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে প্রতিবন্ধীদের মতো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য রাষ্ট্র বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পারবে বলে রয়েছে। প্রতিবন্ধী হওয়ায় সমাজের সুস্থ মানুষের মতো সহজ জীবনযাপন তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে তারা উচ্চশিক্ষা অর্জন করে। এরপরও যদি তারা চাকরির সুযোগ না পায় তবে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে এবং হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বে।
কমিশনের চেয়ারম্যান তাদের বক্তব্য শুনে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী যাতে বৈষম্যের শিকার না হয় এবং কোনো রকম ভোগান্তিতে না পড়ে সেটাই প্রত্যাশা করে কমিশন। তাদের অভিযোগের বিষয়ে কমিশন যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে কমিশনের চেয়ারম্যান তাদেরকে আশ্বস্ত করেন।
নদী বন্দর/এসএইচ