মহামারি করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ হাজার ৯৪২ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭০২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হলো ৫ লাখ ২৯ হাজার ৩১ জন।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংস্থার অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এদিন সুস্থ হয়েছেন ৬৮২ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫৫ জন।
এর আগে সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দেশে আরও ৬৯৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে মারা যান আরও ১৬ জন।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ কোটি ৬০ লাখ ৪ হাজার ১২১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ২৩২ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ কোটি ৮৬ লাখ ২৬ হাজার ৫০৬ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন দুই কোটি ৪৬ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৬ জন। মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৮ হাজার ৬২০ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি ৫ লাখ ৮২ হাজার ৬৪৭ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৫২ হাজার ৫৯৩ জন।
আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় ৮৫ লাখ ১২ হাজার ২৩৮ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ১০ হাজার ৩২৮ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে রাশিয়া চতুর্থ স্থানে রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ লাখ ৯১ হাজার ৬৬ জন। ভাইরাসটিতে মারা গেছে ৬৬ হাজার ৩৭ জন।
পঞ্চম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৪ লাখ ৩৩ হাজার ৪৯৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৮৯ হাজার ৮৬০ জন।
এদিকে আক্রান্তের তালিকায় ফ্রান্স ষষ্ঠ, তুরস্ক সপ্তম, ইতালি অষ্টম, স্পেন নবম এবং জার্মানি দশম স্থানে আছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের অবস্থান ২৭তম।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।
নদী বন্দর / এমকে