বরিশালের কীর্তনখোলা নদীসহ সারা দেশে নদী অবৈধ দখলকারীদের হাত থেকে মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মো. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, সারা দেশে বিভিন্ন নদীর ৬০ হাজার অবৈধ দখলদার রয়েছে। তাদের মধ্যে ইতিমধ্যে ২০ হাজার অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হয়েছে। ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও চট্টগ্রামে নদীর অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদ অভিযান চলছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব নদীর অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদ করা হবে বলেও জানান নৌ প্রতিমন্ত্রী।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় বরিশাল সার্কিট হাউজে ‘বরিশাল বিভাগের নদী সমূহের নাব্যতা বৃদ্ধি, জলাবদ্ধতা হ্রাস, জলাভূমি বাস্তুপুনরুদ্ধার, সেচ ও ল্যান্ডিং সুবিধাদি বৃদ্ধি করে নদী ব্যবস্থাপনার সম্ভব্যতা যাচাই’ শীর্ষক সমীক্ষার ওপর এক কর্মশলায় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ বলেন, নদী দখলদারদের দখলমুক্ত করতে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু যন্ত্রপাতি সংগ্রহ হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব দখলদারকে উচ্ছেদ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী না বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে না। তাই দখলদারদের স্বেচ্ছায় সন্মানের সাথে নদীর দখল ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। এই আহ্বানে সাড়া না দিলে নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ড. অমিতাভ সরকারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম তালুকদার, বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন প্রমুখ।
নদী বন্দর / জিকে