গ্রিসে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় শতাধিক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৮৫ জন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে লারিসা শহরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রয়টার্স জানায়, যাত্রীবাহী একটি ট্রেন গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে উত্তরাঞ্চলীয় শহর থেসালোনিকির দিকে যাচ্ছিল। বিপরীত দিক থেসালোনিকি থেকে আরেকটি মালবাহী ট্রেন আসছিল লারিসার দিকে। যাত্রাপথে লারিসায় দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
থেসালি অঞ্চলের গভর্নর কনস্তান্তিনোস অ্যাগোরাস্তোস জানিয়েছেন, কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। তবে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যাত্রীবাহী ট্রেনটিতে অন্তত সাড়ে ৩শ’ যাত্রী ছিল।
কনস্তান্তিনোস অ্যাগোরাস্তোস বলেছেন, ‘সংঘর্ষটি খুব শক্তিশালী ছিল। যাত্রীবাহী ট্রেনটির ৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে এবং প্রথম দুটি বগি প্রায় সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।’ তিনি জানান, দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আড়াইশ’ যাত্রীকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে যাত্রীবাহী ট্রেনটিতে কতজন যাত্রী ছিলেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি গভর্নর।
এ দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া এক যুবক গ্রিক সম্প্রচারমাধ্যম এসকেএআই-কে বলেছেন, ‘ট্রেনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল, লোকজন ভয়ে চিৎকার করছিল। এটি ছিল অনেকটা ভূমিকম্পের মতো।’
স্থানীয় সময় বুধবার (১ মার্চ) ভোরেও উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের সন্ধান চালিয়েছেন উল্লেখ করে, স্থানীয় ফায়ার ব্রিগেডের মুখপাত্র ভ্যাসিলিস ভার্থকোগিয়ানিস এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, ‘দুই ট্রেনের সংঘর্ষের তীব্রতার কারণে যাত্রীদের সরিয়ে নেয়া খুব কঠিন হয়ে গেছে।’
নদী বন্দর/এসএইচ