যৌথ মালিকানায় সৌদি আরবে প্রস্তাবিত ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের বিষয়ে দেশটি সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের ফাঁকে সৌদির বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আব্দুল্লাহ আল কাসাবির সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠক শেষে সার কারখানা স্থাপনের বিষয়ে দেশটি সম্মতির কথা জানান মন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি সার কারাখানা সেখানে (সৌদিতে) করব, তারা আমাদের বেনিফিট (লাভ) দেবে। ওখানে (সৌদি) সস্তায় সার তৈরি করা যায়। তারা (সৌদি আরব) তাতে এগ্রি (রাজি) হয়েছে।’
সৌদির বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে মোমেন বলেন, ‘তিনি বলেছেন, কথাবার্তা না, আমরা কাজ করতে চাই। সৌদি এখানে কয়েকটি প্রজেক্ট নিয়েছে, এর মধ্যে কাজও শুরু হয়েছে। তারা পতেঙ্গার একটি প্রজেক্টে কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমরা তাদের একটা স্পেশাল ইকোনোমিক জোন দিয়েছি। তারা জানালেন, ওখানে কাজ শুরু করবেন। এটা চট্টগ্রামে।’
এনার্জি ও পোর্ট সেক্টরে সৌদি বিনিয়োগ করতে চায় জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা এনার্জি সেক্টরে ইনভেস্ট করতে চায়, পোর্ট সেক্টরে করতে চায়। তারা এয়ারপোর্টে ইনভেস্ট করতে চায়।’
বাংলাদেশ থেকে ওষুধ নেওয়া এবং আইটি সেক্টরের লোকবল নিয়োগ দিতে সৌদির বাণিজ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন বলেও জানান মোমেন।
বাংলাদেশে বিদেশিদের বিনিয়োগ আগ্রহ থাকলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিয়ে আপত্তি রয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করার অনেক প্রচেষ্টা হয়েছে। আস্তে আস্তে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমাচ্ছি। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী খুব শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জটিলতার জন্য কোনো প্রজেক্ট বন্ধ না হয়; দেরি না হয়।’
বিদেশি অনেক দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মোমেন।
নদী বন্দর/এসএইচ