1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
বরগুনায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন, ঝুঁকিতে ১০ হাজার মানুষ - Nadibandar.com
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আইএমএফের ঋণের কিস্তিছাড় ইস্যু আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশা গভর্নরের বৈষম্যবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতনের অনুমতি চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন অস্থিরতা কাটাতে রাজনৈতিক ঐক্য দরকার: মির্জা ফখরুল ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পদোন্নতি সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত তিস্তা প্রকল্প নিয়ে শুধু ‘ভাসাভাসা নীতিগত’ আলোচনাই হয়: পরিকল্পনা উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা ইসি নয়, সংস্কার প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা এনসিপির আ.লীগের বিচারসহ ৮ ইস্যুতে ঐকমত্য এনসিপি ও খেলাফত মজলিস রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়নের কাছাকাছি ‘চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে চায় বাংলাদেশ’
বরগুনা প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩
  • ১০৪ বার পঠিত

বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তেঁতুলবাড়িয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বাঁধে বড় আকারের ফাটল ধরেছে।

সোমবার (২৭ মার্চ) রাতে ২০০ মিটার বাঁধ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে দিশেহারা এলাকার ১০ হাজার মানুষ। বসতভিটা ও ফসলি জমি রক্ষায় দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পায়রা নদীর প্রবল স্রোতে উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে সোমবার রাতে আকস্মিক ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনে বাঁধের দুটি অংশের প্রায় ২০০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পায়রা সংলগ্ন বাঁধে ফাটল ধরেছে। পায়রার ভাঙনে তেঁতুলবাড়িয়া, সোবাহানপাড়া, অংকুজানপাড়া ও জয়ালভাঙ্গা গ্রামের ১০ হাজার বাসিন্দা আতঙ্কে আছে।

স্থানীয়রা জানান, ১৬ বছর ধরে পায়রা নদীর ভয়ঙ্কর ভাঙনে তেতুঁলবাড়িয়া ও জয়ালভাঙ্গা গ্রামের হাজার হাজার একর ফসলি জমি এবং ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।

নতুন করে বাঁধে ভাঙন শুরু হওয়ায় তিন গ্রামের ১০ হাজার মানুষের মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক শুরু হয়েছে। তেতুঁলবাড়িয়া গ্রামের রোজিনা বেগম ও মো. জসিম উদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘সিডরের ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড পরিকল্পনা মাফিক টেকসই বাঁধ নির্মাণ করেনি। দায়সারা ভাবে বাঁধ নির্মাণ করছে। ১৬ বছরে এলাকার অন্তত ১০ হাজার মানুষ জোয়ার ভাটার সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছে।’

একই গ্রামের বাসিন্দা নাজমা ও নুরজাহান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর থেকে আমরা বছরে ছয় মাস পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে চলি। আমাদের এ কষ্টের চিত্রগুলো কারো চোখে পড়ে না।’

তালতলী নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ড. মো. কামরুজ্জামান বাচ্চু  বলেন, সিডরের পর পরিকল্পনা মাফিক টেকসই বাঁধ নির্মাণ না করায় ১৬ বছরে সাগর সংলগ্ন নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তেতুঁলবাড়িয়া ও জয়ালভাঙ্গা গ্রামের অন্তত দেড় কিলোমিটার ভূমি সাগর ও নদীতে বিলীন হয়েছে। দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা না গেলে পুরো নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন তালতলীর মানচিত্র থেকে মুছে যাবে।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, নতুন করে পায়রার ভাঙন শুরু হওয়ায় পুরো নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নবাসী আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পরিদর্শন করে ঝুঁকিতে থাকা বাড়ির নারী শিশু ও বৃদ্ধদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। স্থানীয় সাইক্লোন শেল্টার খুলে দেওয়া হয়েছে। বাঁধ মেরামত করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছি।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুদীপ্ত চৌধুরী বলেন, পায়রা নদী সংলগ্ন ভেঙে যাওয়া বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে রিং বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।’

নদী বন্দর/এসআরকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com