খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে সাত লাখ ১১ হাজার মেট্রিক টন। এছাড়া অভ্যন্তরীণভাবে কাঙ্খিতমাত্রায় খাদ্যশস্য সংগ্রহ না হওয়ায় সরকার ১৪ লাখ মেট্রিক টন আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে (১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত) ৫ লাখ ৩৮ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং এক লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন গমসহ ৭ লাখ ১১ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে।
মন্ত্রী জানান, চলতি আমন মৌসুমে ৬ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল ও দুই দশমিক শূন্য ৭ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত সংগ্রহ আশানুরূপ না হওয়ায় সরকার মজুত বৃদ্ধির জন্য ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল ও চার লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই আমদানি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারি চাল আমদানির শুল্ক ৬২.৫% থেকে ২৫% এ হ্রাস করা হয়েছে।
বিএনপির আমিনুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে খাদ্য মন্ত্রী জানান, সরকার চলতি অর্থ বছরে জি টু জি ভিত্তিতে রাশিয়া থেকে দুই দশমিক ১৬ মেট্রিক টন গম আমদানি করেছে। এছাড়া ভারত থেকে তিন লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও এক লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং আর্জেন্টিনা থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
চলতি অর্থ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত চিনি, ভোজ্য তেল, ফলমূল, মসলা, পেঁয়াজ, ডালসহ দুই হাজার ৩৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারের খাদ্যদ্রব্য আমদানি করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
নদী বন্দর / এমকে