1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
সরকারের চক্রান্তের হাতিয়ার হয়ে উঠছে দুদক: ফখরুল - Nadibandar.com
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন
নদীবন্দর ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৮০ বার পঠিত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণকে বিভ্রান্ত ও চলমান আন্দোলন দমন করতে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আবারও চক্রান্ত শুরু করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। আর এই চক্রান্ত্রের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে দুদক।

তিনি বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকারের ছত্রছায়ায় এবং পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের অনুগত ব্যবসায়ী, আমলা ও নেতাকর্মীরা দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে দুদক কোনো পদক্ষেপ নেয় না।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান ব্যর্থ, দুর্নীতিবাজ, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এই প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনীতির শিকার জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান তথা গোটা জিয়া পরিবার এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা জেনেছেন, গত ১৩ এপ্রিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত। এই প্রসিডিংস ফরমায়েশি এবং প্রতিহিংসামূলক। ১/১১ জরুরি অবস্থার অনৈতিক সরকার দেশকে বিরাজনীতিকরণের লক্ষ্যে মাইনাস টু ফর্মুলাসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাদের মিশন সফল করতে চেয়েছিল। তখন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা করা হয় এবং রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র তারেক রহমানের স্ত্রী এবং জিয়া পরিবারের সদস্য হওয়ায় জোবাইদাকেও একই মামলায় আসামি করা হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণের কাছে রাজনীতি, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, বহুদলীয় গণতন্ত্র, উন্নয়ন সমৃদ্ধির ধারক ও বাহক জিয়া পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন ও বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় খালেদা, তারেক, জোবাইদার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা করা হয়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ১/১১ জরুরি অবস্থার ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালের জরুরি অবস্থার সরকারের হাত ধরে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের মামলাগুলো বিভিন্ন উপায়ে স্থগিত বা প্রত্যাহার করলেও খালেদা, তারেক ও জোবাইদাসহ বিএনপি নেতৃবৃদ্ধের বিরুদ্ধে ১/১১ সরকারের দায়ের করা মামলাগুলো অব্যাহত রেখে সেগুলো ফরমায়েশি রায় দিয়ে তাদের রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করেছে। যা আজও অব্যাহত।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ এমন এক সময় তারেক-জোবাইদার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হলো, যখন তারেক রহমানের হিরন্ময় নেতৃত্বে বর্তমানে সরকারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী তীব্র গণ-আন্দোলন চলছে। ব্যাপক জনসম্পৃক্ত এই আন্দোলনে সরকার ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে দমন নীতির অংশ হিসেবে গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যা করছে। বাধা, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা দিয়ে নিষ্ঠুর দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। এসব করেও জনগণের আন্দোলন নসাৎ করতে পারছে না, জনস্রোত ঠেকাতে পারছে না।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে নেতাকর্মী ও জনসাধারণের মনোবল বিনষ্ট করতে সরকারের ইঙ্গিতে এই মামলা অব্যাহত আছে। বিএনপি এবং চলমান আন্দোলন নেতৃত্বশূন্য করতে প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকার মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক অভিযোগে মামলা ও রায় দিয়ে গোয়েবলসের (এডলফ হিটলারের প্রধান সহযোগী) মতো মিথ্যাচার করছে। দুদক যেন আজ ‘বিএনপি দমন কমিশনে’ পরিণত হয়েছে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, যেসব সম্পত্তির মালিক তারেক রহমান নন, কোনো দলিল বা চুক্তিতে যেখানে তার নাম, স্বাক্ষর বা সংশ্লিষ্টতা নেই, তাকে সেসব সম্পত্তির গায়েবি মালিক বানিয়ে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এমনকি তিনি এবং তার স্ত্রীর কর পরিশোধকৃত সম্পদ নিয়েও কাল্পনিক অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। সরকারের নির্মম প্রতিহিংসায় দেশ আজ পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। সরকার দেশপ্রেমিক, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক কাউকেই রেহাই দিচ্ছে না। চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতার করে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে।

তিনি বলেন, আমরা আগেও বলেছি ওয়ান ইলেভেন থেকেই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে সরানোর কাজ চলছে, যা এখনো অব্যাহত। এরই অংশ হিসেবে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগে আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালে খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়। এখনো ঠিক একই কায়দায় আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে তারেক রহমানকে একতরফাভাবে সাজা দেওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সরকার।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের একটি মামলায় গত বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) তারেক ও জোবাইদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার আদালত। এর মাধ্যমে ২০০৭ সালে করা এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হলো। আগামী ১৬ মে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।

তারেক রহমান, তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় জোবাইদা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে তারেক রহমানকে অপরাধে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের হীন এ কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে বিএনপি। সরকারকে এসব হীন ষড়যন্ত্র পরিত্যাগ করে সুস্থ ও সুষ্ঠু রাজনীতির ধারায় ফিরে আসার আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে মামলা দিয়ে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় চলমান আন্দোলন বিভ্রান্ত বা নস্যাৎ করা যাবে না বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।

নদী বন্দর/এসএইচ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com