নাব্যসংকটে শীতের শুরুতেই হুমকির মুখে পড়েছে ভোলা-ঢাকা নৌপথ। ভোলাখাল আর তেঁতুলিয়া নদীতে প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে যাত্রীবাহী লঞ্চ। নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। তবে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে আগামী এক মাসের মধ্যেই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ)।
ভোলা খেয়াঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার কয়েক মিনিট পরই আটকে যায় ঢাকাগামী লঞ্চটি। নদীর পানি মেপে মেপে কচ্ছপ গতিতে গন্তব্যের উদ্দেশে ছুটলেও ডুবোচরের কারণে পৌঁছাতে ৪ ঘণ্টা সময় বেশি লেগে যায়। নৌপথে ভোলা থেকে ঢাকার দূরত্ব ১৯৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ভোলা খেয়াঘাট থেকে তেঁতুলিয়া নদীর প্রায় ১৪ কিলোমিটার এলাকায় পলি জমে তীব্র নাব্যসংকট দেখা দিয়েছে। ঢাকাগামী লঞ্চগুলো চলাচলের জন্য ৩ মিটার পানির দরকার হলেও এখানে ভাটার সময় এক থেকে দেড় মিটার পানি থাকে। ফলে ডিসেম্বরের শুরু থেকেই জোয়ারের ওপর নির্ভর করে এ রুটের নৌযান চলাচল করছে।
এমভি ভোলা লঞ্চ মাস্টার মনির হোসেন মঞ্জু বলেন, নিয়মিত পরিকল্পনা করে ড্রেজিং করে নাব্যসংকট কাটানো হলে আমরা বিঘ্ন ছাড়াই নৌযান নিয়ে যাতাযাত করতে পারব।
নৌপথটি সচল রাখতে ইতোমধ্যে ভোলা খালে ড্রেজিং শুরু করলেও কোনো সুফল আসেনি। ড্রেজিং শেষ করে রুটটি সচল করতে সময় লাগবে আরও ২ মাস।
তবে নাব্যসংকটে নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে স্বীকার করে শিগগির সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে ভোলা নদীবন্দরে বিআইডব্লিউএয়ের সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, পরিবেশ পরিবর্তনের কারণে এ নদীটা ভরাট হয়ে গেছে, ইতোমধ্যে ৩টি ড্রেজার দিয়ে কাজ হচ্ছে, আশা করছি আগামী এক মাসের মধ্যে নৌযান চলাচলের উপযোগী হবে।
ভোলা-ঢাকা রুটের ১৬টি লঞ্চে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার যাত্রী চলাচলের পাশাপাশি জেলার অধিকাংশ পণ্যসামগ্রী এ রুটেই পরিবহন করা হয়।
নদী বন্দর / পিকে