1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোয় পারাপার, ভোগান্তি - Nadibandar.com
সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৩ অপরাহ্ন
জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২১ মে, ২০২৩
  • ৬৮ বার পঠিত

জয়পুরহাটের তেঘরবিশার জুংলিপাড়া-আজাদপাড়া খালের ওপর তৈরি বাঁশের সাঁকোটি দীর্ঘদিন ধরে নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। বাঁশ সরে গিয়ে মাঝেমধ্যেই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। ফলে ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন এই সাঁকোটি দিয়ে যাতায়াত করছেন শিক্ষার্থীসহ দুই পাড়ের হাজারো বাসিন্দা। 

সরেজমিনে দেখা যায়, জয়পুরহাট সদর উপজেলার মোহাম্মাদাবাদ ইউনিয়নের তেঘরবিশার জুংলীপাড়া-আজাদপাড়া গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করেন এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে। যুগের পর যুগ সেতু নির্মাণ না হওয়ায় গ্রামবাসীরা নিজ উদ্যোগে এই সাঁকোটি নির্মাণ করেছেন। কিন্তু সাঁকোটি এখন নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে।

এছাড়া কিছু জায়গা ভেঙে যাওয়ায় সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সাঁকোটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে না পারায় পায়ে হেটে একপাশ থেকে অন্যপাশে যেতে হয় সবাইকে। ফলে রোগী কিংবা মালামাল পারাপারে দুর্ভোগের শেষ থাকে না স্থানীয়দের। বাসিন্দাদের দাবি, এই সাঁকোটি ভেঙে যেন সেখানে দ্রুত একটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হয়। 

জুংলীপাড়ার বাসিন্দা শারমিন আক্তার বলেন, এই বাঁশের সাঁকোটির কারণে আমাদের অনেক সমস্যা হয়। সাঁকোটি দিয়ে যাতায়াতের সময় অনেকেই খালের ভেতর পড়ে গিয়ে হাত-পা ভেঙ্গেছেন । সরকার যদি এখানে একটি সেতু করে দেয় তাহলে আমাদের অনেক সুবিধা হবে।

আজাদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামান বলেন, দুই গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করেন। এখানে নতুন করে সেতু হওয়ার কথা আমরা দীর্ঘদিন ধরে শুনছি। চেয়ারম্যান, মেম্বার, ইঞ্জিনিয়ার এসে বারবার মাপ নিয়ে যান। কিন্তু কাজ হয় না। আমাদের গ্রাম থেকে সরাসরি ভ্যান ও রিকশাসহ কোনো যানবাহন চলাচল করে না। এতে আমাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

মোসলেম উদ্দীন বলেন, আমরা গ্রামবাসীদের কাছ থেকে বাঁশ নিয়ে নিজেরাই এই সাঁকোটি নির্মাণ করেছিলাম। কিন্তু কয়েক মাস যেতেই বাঁশগুলো ভেঙে যায়। এই সাঁকো দিয়ে কোনো পরিবহন যাতায়াত করতে পারে না। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার সময় কাঁধে করে রোগীকে খালের অন্য পাড়ে নিয়ে যেতে হয়। কোনো মালামালও আনা যায় না সেতুর অভাবে। আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, এখানে যেন দ্রুত একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। 

মোহাম্মদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান জানান, জনদুর্ভোগের কথা ভেবে সেতু তৈরির ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

জয়পুরহাট সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সেতুটি নির্মাণের প্রস্তাব কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলেই কাজ শুরু হবে।

নদী বন্দর/এসএস

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com