1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
দূত-পাতাল বিলে খাল খননে প্রাণ ফিরেছে ৩০০ বিঘা পতিত জমির - Nadibandar.com
মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৯ অপরাহ্ন
নড়াইল প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩
  • ৬৯ বার পঠিত

খাল খননে নড়াইল সদর উপজেলার সিংগাশোলপুর ইউনিয়নের দূত-পাতাল বিলে ৩০০ বিঘা পতিত জমির প্রাণ ফিরেছে। এসব জমিতে ফসল উৎপাদনের স্বপ্ন বুনছেন ওই অঞ্চলের হাজারো কৃষক।

দীর্ঘ দিনের জলাবদ্ধতার কারণে সঠিক সময়ে ফসল রোপণ করতে পারতেন না স্থানীয় কৃষকরা। যার ফলে দূত-পাতাল বিলে অনাবাদী হয়ে পড়ে থাকতো ৩০০ বিঘা জমি। পতিত এ জমিতে চাষাবাদ করে ভাগ্য ফেরাতে খাল খননের উদ্যোগ নেন স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখর বিশ্বাস। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে যোগাড় করা টাকা দিয়ে খাল খননের কাজ শুরু করেন তিনি। এরই মধ্যে খাল খনন শেষ হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খাল খননের জন্য ওই বিলের জলাবদ্ধতার নিরসন হয়েছে। চাষাবাদের উপযোগী হয়ে উঠেছে পতিত ৩০০ বিঘা জমি৷ জমিগুলোতে তিন ফসল উৎপাদন সম্ভব বলে জানিয়েছেন চাষিরা।

জমির মালিক কৃষক তবিবুর রহমান বলেন, জলাবদ্ধতায় আমরা এ জমিতে কোনো ফসল উৎপাদন করতে পারতাম না। ইউপি সদস্য শেখর বিশ্বাসের উদ্যোগে আমরা সবাই একত্রিত হয়ে খাল খনন করেছি। এখন থেকে এ বিলে তিনটি ফসল উৎপাদন করা যাবে। যা জেলার কৃষিতে একটি বড় ভূমিকা রাখবে।

শোলপুর গ্রামের সুনাম মন্ডল বলেন, মেম্বর শেখর বিশ্বাস আমাদের একত্রিত করে এই খাল খনন করেছে। যার ফলে আমরা সকলে উপকৃত হয়েছি। খাল খননের জন্য অনাবাদী এ জমি ফসল উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠেছে।

এ বিষয়ে জানতে সিংগাশোলপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শেখর বিশ্বাস  বলেন, এ মাঠে পাঁচ-সাতটি গ্রামের প্রায় হাজারো পরিবারের জমি আছে। জলাবদ্ধতার কারণে কেউ ফসল উৎপাদন করতে পারে না। জমিতে ফসল উৎপাদনের জন্য কেনাল ভিত্তিক খাল খননের জন্য আমি তিন বছর ধরে সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলেছি।

সবাই আমার সঙ্গে একমত হয়ে খাল খননের উদ্যোগ নেন। পরবর্তীতে সবার সহযোগিতায় খাল খনন করা হয়েছে। ফলে এই দূত-পাতাল বিলের কৃষকেরা নতুন করে তিন ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা খুঁজে পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকার বিষয়টি নজরে দিলে খালটি আরও সুন্দর হবে। ফলে সাতটি গ্রামের হাজারো পরিবার তাদের জমিতে তিনটি ফসল ঘরে তুলতে পারবে। এসব ফসল নড়াইলে কৃষিতে একটি বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।

সিংগাশোলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম হিটু বলেন, আমরা চেষ্টা করেছিলাম সরকারিভাবে এখানে একটি খাল খননের জন্য। তার আগেই এলাকার মানুষের সহযোগিতায় খালটি খনন করা হয়েছে। এতে করে অনেক ফসল উৎপাদন হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বলেন, আমাদের নজরে বিষয়টি এসেছে। চেষ্টা করবো মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প দিয়ে এখানে একটি খাল খননের।

নদী বন্দর/এসএস

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com