ছিল পরিত্যক্ত জায়গা। করোনাকালে সেটিই এখন দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি মাস্ক বাজার। পুরান ঢাকার বাবুবাজার ব্রিজের নিচের এ বাজারে মাত্র ৭০ পয়সায় মিলছে সার্জিক্যাল মাস্ক। ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কে.এন-৯৫ মাস্ক। মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও বিক্রেতারা জানান, এসব মাস্কই মোড়কজাত হয়ে বিক্রি হচ্ছে দেশের নামিদামি বিপণিবিতান কিংবা শোরুমগুলোতে। বর্তমানে অস্থায়ী এই বাজারে মাসে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৬-৭ কোটি টাকার মাস্ক।
দেশে করোনা শনাক্তের পর হঠাৎ করেই দেখা দেয় মাস্কের কৃত্রিম সংকট। প্রতিটি সার্জিক্যাল মাস্ক ১৫-২০ টাকা; কেএন-৯৫ ২৫০-৩০০ টাকা; আর এন-৯৫ মাস্কের দাম ছাড়ায় হাজার টাকা। এ অবস্থায় মাস্কসহ করোনা উপকরণ উৎপাদনে এগিয়ে আসে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। আস্তে আস্তে ফার্মেসি দোকান ছাড়িয়ে বাবুবাজার ব্রিজের নিচে করোনার উপকরণ নিয়ে জড়ো হতে থাকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। ক্ষুদ্র পুঁজিগুলো এক হয়ে গত কয়েক মাসে বড়সড় বাজারে রূপ নিয়েছে।
প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা ক্রেতাদের আনাগোনা আর বিক্রেতাদের হাঁকডাকে সরগরম হয়ে উঠে বুড়িগঙ্গার পাড়ের এ বাজারটিতে। বর্তমানে প্রতিটি সার্জিক্যাল মাস্ক ৭০ পয়সা; কেএন-৯৫ বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়। বাচ্চাদের কিডস মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ৮-১০ টাকায়। মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও স্বল্পদামের এই মাস্ক বেচেই পেট চলছে সৌদিফেরত শাহজালালের।
শুধু তাই নয়, এসব মাস্ক যাচ্ছে নামিদামি শোরুম কিংবা বিপণীবিতানে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিদিন প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকার মাস্ক বিক্রি হচ্ছে এ বাজারে। বর্তমানে পুরান ঢাকার বাবুবাজারের এই মাস্ক বাজারে বর্তমানে শতাধিক ব্যবসায়ী রয়েছেন।
নদী বন্দর / পিকে