ভারী বৃষ্টি ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে ক্রমেই বেড়ে চলছে সুনামগঞ্জের সবকটি নদ-নদীর পানি। পাহাড়ি ঢলে যাদুকাটা নদীসহ সব নদীর পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সুনামগঞ্জের প্রধান নদী সুরমার পানি ছাতক ষ্টেশনে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ৮ দশমিক ৫২ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সুনামগঞ্জ স্টেশনে বিপদসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ৭ দশমিক ৪ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি ছাতকে ৫৮ ও সুনামগঞ্জে ৩৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটার ও ৫ দিনে সাড়ে ৫শ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে পাহাড়ি ঢলের পানিতে গত শুক্রবারে সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়কের ১০০ মিটার ডুবন্ত সড়ক ডুবে যায়। ওইদিন পানির উপর দিয়ে কিছুটা যানবাহন চলাচল করলেও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত শনিবার থেকে তাহিরপুরের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া এই সড়কের শক্তিয়ারখলা ও আনোয়ারপুর সড়কের কিছু অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়কের দুপাশে আটকা পড়ে আছে বিভিন্ন যানবাহন। যাত্রীরা নৌকায় যাতায়াত করছেন।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, সুনামগঞ্জে ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে প্রচুর বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সব কটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ছাতকে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ছাতক ছাড়া সুনামগঞ্জসহ অন্যান্য এলাকায় বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
নদী বন্দর/এসএস