তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভেঙেছে, যাদের হাতে বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য নিরাপদ নয়, তাদের হাতে দেশও নিরাপদ হতে পারে না।
রোববার (১৮ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় চট্টগ্রাম মহানগরীর জামালখান মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছবি ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মন্ত্রী। পরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের জামালখানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও মুক্তি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়াদের ছবি ভাঙচুরের ঘটনায় এরইমধ্যে মামলা হয়েছে। ঘটনায় যারা জড়িত ছিল, মামলার প্রেক্ষিতে তাদের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে যারা তাদের নেতা, যারা তরুণদের এ ধরনের নৈরাজ্য শিক্ষা দিচ্ছে, এগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছে, তারাও দায় এড়াতে পারেন না। তাদেরও অবশ্যই আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে, আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের ছবি ভাঙে, আমাদের মুক্তি আন্দোলনের পুরোধাদের ছবির প্রতি অবমাননা করে, সর্বোপরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করে ছবি ও ম্যুরাল ভাঙে, তারা তো দেশটাই ভেঙে দেবে। তাদের হাতে তো কখনো দেশ নিরাপদ হতে পারে না। এরাই আবার দেশ পরিচালনার স্বপ্ন দেখে।
তিনি বলেন, বিএনপি তারুণ্যের সমাবেশের কথা বলে এদিক দিয়ে যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধুর সব ছবিগুলো এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া অন্যান্যদের ছবিও ভাঙচুর করেছে। এ দায় দলটির নেতারা কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের চিত্র ভেঙে দেওয়ার পেছনে বিএনপির পাশাপাশি জামায়াত-শিবিরের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জামায়াত তো বিএনপিরই সহোদর ভাই, ওরাইতো বলে- একই বৃন্তে দুটি ফুল, বিএনপি আর জামায়াত। এটা ওনাদের বক্তব্য। এ তারুণ্যের সমাবেশেও ছদ্মবরণে জামায়াত-শিবিরও ছিল। তবে মূল দায়টা বিএনপি নেতাদের।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের কোথাও রাস্তার পাশে দেয়ালে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও মুক্তি আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের এভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। চট্টগ্রামে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ আমাদের সংস্কৃতি এবং মুক্তি আন্দোলনের পুরোধা যারা ছিলেন, তাদের ছবিগুলো যেভাবে রাস্তার পাশে এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে, সেগুলো দেশের কোথাও নাই।
নদী বন্দর/এআরকে