ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি অঞ্চলে গত দুইদিন ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ ধারা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। এই অতিবৃষ্টিতে দুই দিনে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) পূর্বাভাস দিয়েছে দিল্লি, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরখণ্ড, রাজস্থান, পাঞ্জাব এবং জম্মু কাশ্মীরে অতি বৃষ্টিপাত হবে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে উত্তর ভারতে একটি নিম্নচাপ বিরাজ করছে। যার প্রভাবে গতকাল শনিবার (৮ জুলাই) দিল্লিসহ অন্যান্য অঞ্চলে অত্যাধিক বৃষ্টিপাত হয়েছে।
দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা ১৯৮২ সালের পর একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হওয়ার রেকর্ড।
রোববারও দিল্লিসহ আশপাশের শহরগুলোতে বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। এই বৃষ্টির প্রভাবে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতা এবং যানজট দেখা গেছে। অতিবৃষ্টির কারণে গুরুগ্রামের কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
অতিবৃষ্টিতে দিল্লিতে ভবনের ছাদ ধসে পড়ে ৫৮ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়। এছাড়া বৃষ্টি সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনায় রাজস্থানে ৪ জন প্রাণ হারান।
এছাড়া উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরে রোববার সকালে ছাদ ধসে এক নারী ও তার ছয় বছর বয়সী মেয়ের মৃত্যু হয়। হিমাচল প্রদেশেও ছাদ ধসে একই পরিবারের তিনজন নিহত হন।
অপরদিকে জম্ম এবং কাশ্মীরে আকস্মিক বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে দুইজন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন।
বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় শ্রীনগর-জম্মু মহাসাগরে অন্তত ৩ হাজার গাড়ি আটকে আছে। ওই সড়কের একটি অংশ বৃষ্টিতে দেবেও গেছে।
এছাড়া কুল্লো বিভাগের জাতীয় মহাসড়কের একটি অংশ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। সেখানে বিয়াস নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর অবস্থান করছে।
সূত্র: এনডিটিভি
নদী বন্দর/এসএম