সিলেটে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে শিল্পের অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের জন্য সরকার স্থাপন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক। এই পার্ককে বিশেষায়িত ইলেকট্রনিক সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে বিশ্বমানের বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টির সব আয়োজন সম্পন্ন হওয়ার পথে। ৫০ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে চলতি বছরেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ।
মেঘালয় থেকে নেমে আসা পিয়াইন, যাদুকাটাসহ কয়েকটি নদনদীর জলধারার মাঝে মাটি ভরাট করে একটি দ্বীপের সৃষ্টি করে তৈরি করা হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক। বদলে যাবে সিলেট অঞ্চলের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট। ইতোমধ্যে পার্কে শতভাগ জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কের প্রকল্প পরিচালক ব্যারিস্টার গোলাম সারোয়ার ভুঁইয়া জানান, একই সঙ্গে আইটি পেশাজীবীদের চাকরির ক্ষেত্র তৈরির পাশাপাশি দেশি-বিদেশি নামী ইলেক্ট্রনিকসামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকায় প্রবাসীরাও বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছেন। শিল্প প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসা যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রবাসীরা যেভাবে এগিয়ে আসছেন এক সময় এই পার্ক বিশ্বে অন্যতম সেরা পার্কে পরিণত হবে।
আইটি খাতে বিনিয়োগকারী ড. ফারহানা সরকার মনে করেন, বিনিয়োগের সেরা সুযোগ থাকায় দেশ বিদেশের অনেক নারী উদ্যোক্তারা এখানে বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছেন।
সিএমইডি হেলথ লিমিটেডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার এ মামুন জানান, স্বাস্থ্য খাতে কাজ করার জন্য বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে।
জালালাবাদ গ্যাস টি ডি সিস্টেমস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জসিম উদ্দেন আহমদ জানান, ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প এলাকায় গ্যাস সংযোগের কাজ শেষ হওয়ার পথে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মারুফ জানান, প্রকল্প এলাকায় বসানো হয়েছে আধুনিক বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র।
সিলেট নগরী থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরবর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১৬৩ একর জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক।
নদী বন্দর / এমকে