ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রদান সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ চলছে। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়। দুপুর ২টা পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ চলে।
প্রশিক্ষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও মুগদা জেনারেল হাসপাতালের ৮৫ জন ডাক্তার ও নার্স অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণ শুরুর আগে ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, আগামী ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তারই প্রেক্ষিতে পরের দিন থেকে বাংলাদেশের পাঁচটি হাসপাতালে ভ্যাকসিনের কার্যক্রম প্রথম পর্যায়ে শুরু হবে। এর মধ্যে ডিএসসিসিরি মধ্যে পড়ে বিএসএমএমইউ, ঢামেক হাসপাতাল ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এই হাসপাতালগুলোতে আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। সেই লক্ষ্যেই আমরা এই তিনটি হাসপাতালের চিকিৎসক এবং সেবিকাদের একটা প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছি।
তিনি বলেন, আজকে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হলো, পর্যায়ক্রমে আমাদের আরও টিমকে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে। এই ভ্যাকসিনটা দুইটা ডোজে দেয়া হবে। পয়েন্ট ফাইভ মিলিলিটার একটা ডোজ আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে, এটা মূলত মাংসপেশিতে দেয়ার মতো একটা ভ্যাকসিন।
সব ভ্যাকসিনের একটি ছোটখাটো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে, এটা সবার জন্য না, কারো কারো হতে পারে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যদি হয় সে বিষয়ে আমাদের পরবর্তী ব্যবস্থাপনা কি হবে, সে বিষয়েও আমরা আজকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, যোগ করেন তিনি।
ভ্যাকসিন কার্যক্রমে সিটি করপোরশনের ভূমিকা কি, কারা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, এক দিনের প্রশিক্ষণ পর্যাপ্ত কি না এমন প্রশ্নে মো. শরীফ আহমেদ বলেন, আমরা আমাদের ডাক্তারদের স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় মাস্টার ট্রেইনার করে নিয়ে এসেছি। যারা মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে আসছেন, তারা প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। তারাই আজকে মূলত প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এটা জটিল কোনো বিষয় না। এই বিষয়ে একদিনের প্রশিক্ষণই মনে করি গুড এনাফ। এর মাধ্যমেই তাদের প্রশিক্ষিত করা হবে।
নদী বন্দর / পিকে