1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
স্থাপনা-আঙিনা পরিচ্ছন্ন রেখে পানি জমতে না দেওয়া নাগরিক দায়িত্ব - Nadibandar.com
শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ধসে পড়ল মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সমাধি, ভেতরে আটকা বহু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, কোনো শক্তি বিলম্বিত করতে পারবে না: প্রেস সচিব  কেউ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে: প্রধান উপদেষ্টা খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা প্রধান উপদেষ্টার বাড়ছে পদ্মার পানি, ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস, নিহত ২৭ ‘বুনিয়া সোহেলে’র আস্তানায় অভিযান, ককটেল-গানপাউডারসহ কোটি টাকা উদ্ধার মালয়েশিয়ায় সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগ দুই বাংলাদেশির বিরুদ্ধে বৈধ না হলে নির্বাচনের কোনো মানে নেই: প্রধান উপদেষ্টা সিন্ডিকেটের বাধায় ৪০ মিনিট আটকা অ্যাম্বুলেন্স, প্রাণ গেল নবজাতকের
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩
  • ৬১ বার পঠিত

ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে নিজস্ব স্থাপনা, বাড়ি, আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং পানির আধার বিনষ্ট করা এলাকাবাসীর নাগরিক দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

শনিবার (২৬ আগস্ট) বাসাবো কালিমন্দির সংলগ্ন এলাকায় ডেঙ্গুর বিস্তাররোধে মশক নিধনে জনসম্পৃক্ততা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ পরবর্তী গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মেয়র তাপস বলেন, সব তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে যেসব ওয়ার্ডে ১০ জনের বেশি ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি, সেসব ওয়ার্ডকে আমরা ‘লাল চিহ্নিত’ করেছি। লাল চিহ্নিত মানে বিপজ্জনক। সেখানে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সে আশঙ্কা থেকেই আমরা লাল চিহ্নিত করেছি এবং এলাকাবাসীকে সম্পৃক্ত করেছি। বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদ্রাসা, বাড়ির মালিক, সব স্থাপনার মালিক, সব সামাজিক সংগঠন, রেড ক্রিসেন্ট, স্কাউটস সবাইকে সম্পৃক্ত করে এই ওয়ার্ডগুলোতে আমরা দিনব্যাপী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সকালে লার্ভিসাইডিং ও বিকেলে অ্যাডাল্টিসাইডিংসহ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করব।

তিনি বলেন, যারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের এই কার্যক্রমে এগিয়ে এসেছে এবং অংশগ্রহণ করেছে আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। নিজস্ব স্থাপনা, বাড়ি, আঙিনাসহ সব জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং পানির আধার বিনষ্ট করা এলাকাবাসীর নাগরিক দায়িত্ব।

তাপস বলেন, নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে আমাদের প্রতিদিনের যে কার্যক্রম সেটিও ব্যাপক। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু সেখানে আমরা কোনো সন্তুষ্টির ঢেকুর নিতে চাই না। এটা ভরা মৌসুম। এখনো বর্ষা শেষ হয়নি। গতকালও বৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং পানি কিন্তু কিছুক্ষণ পরপরই জমবে। যেহেতু ভাদ্র মাস ভরা মৌসুম সুতরাং মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম আমরা আরো বেগবান করেছি। যেহেতু আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি সেহেতু এই সুযোগে আমরা যদি একদম নির্মূলের পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে সামনের দিনে আর বাড়তে পারবে না। 

এ সময় মার্শাল অ্যাগ্রোভেট নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমরা কারো মাধ্যমে কীটনাশক আমদানি করি না। ২০১৯ সালের পর থেকে আমরা সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী উৎপাদনকারীর কাছ থেকে সরাসরি আমদানি করি। সে প্রতিষ্ঠানও কিন্তু সরকার নির্ধারিত।

সেখানে সব অনুমতি যেমন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অনুমতি, কীটনাশক যারা নিয়ন্ত্রণ করেন তাদের অনুমতি নেওয়া রয়েছে এবং আমাদের কীটনাশক কমিটি আমাদের যে কীটনাশক নির্ধারণ করে দেয় এর বাইরে আমরা কোনো কীটনাশক ব্যবহার করি না।

আমরা শুধু মিশ্রণটা উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে করে থাকি। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে যথাযথভাবে এবং আমাদের নির্ধারিত মূল্যের চাইতে কম মূল্যে তারা কাজ পেয়েছে। আমাদের সঙ্গে তাদের যে চুক্তি এখন পর্যন্ত আমরা সেটির কোনো ব্যত্যয় লক্ষ্য করিনি। 

যথাসময়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জরিপের ফল জানানোর আহ্বান জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপের ওপরই নির্ভর করি। প্রাক-মৌসুম যে জরিপ হয়েছে, সে জরিপ অনুযায়ী আমরা এরইমধ্যে কাজ সম্পন্ন করেছি। এখন মৌসুমের যে জরিপ সেটার জন্য আমরা অপেক্ষায় আছি। এখানে একটি বিষয়, প্রাক-মৌসুম জরিপটা অনেক বিলম্বিত হয়েছিল। আমরা আশা করব যে, ভরা মৌসুমির জরিপটা যেন আমরা যথাসময়ে পায়। তাহলে আমাদের কার্যক্রমটা আরও কার্যকরভাবে নিতে পারব।

এছাড়াও মেয়র ব্যারিস্টার তাপস এদিন হাজারীবাগের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এবং কদমতলীর ৫৩ ও ৬০ নম্বর ওয়ার্ডেও ডেঙ্গু রোগ বিস্তাররোধে মশক নিধনে জনসম্পৃক্ততা কার্যক্রমে অংশ নেন। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, ২ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সুয়ে মেন জো, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস প্রমুখ।

নদী বন্দর/এসএইচবি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com