নড়াইলের লোহাগড়ার মধুমতি নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর পানির তীব্র স্রোতের কারণে উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের পার-আমডাঙ্গা ও লোহাগড়া সদর ইউনিয়নের ছাগলছিড়া গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকালে পার-আমডাঙ্গা গ্রামের নুরুল আলম মাস্টার, সোহাগ মোল্যাসহ কয়কেজন বলেন, গ্রামের মসজিদ-মাদরাসা ও কবরস্থানসহ অসংখ্য ঘরবাড়ি ও শত শত একর ফসলি জমি মধুমতি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সহায় সম্বল হারিয়ে আমরা এখন পথে বসেছি।
জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্য থেকে ৮২ জনকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যকে নিয়ে আমরা কয়েকবার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি ।
নড়াইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বলেন, ২০২০/২১ অর্থ বছরে নদী ভাঙন রোধে ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। কিন্ত সেই টাকাও নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ইতোমধ্যে ওই এলাকার ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে পুনরায় নদী ভাঙন রোধে কাজ করা হবে।
নদী বন্দর/এসএইচবি