প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (২৭ জানুয়ারি) করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘দেশে যখন ভ্যাকসিন আসেনি তখন কিছু সমালোচনাকারী আমরা ভ্যাকসিন আনতে পারবো কি-না সেগুলো নিয়ে সমালোচনা করেছে। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশে ৭০ লাখ ভ্যাকসিন ইতোমধ্যেই নিয়ে এসেছেন, আগামীকাল (বুধবার) ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন, তখন কিছু সমালোচনাকারী এই ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে যাতে মানুষ ভ্যাকসিন না গ্রহণ করে।’
বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটায় প্রধানমন্ত্রীর কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে এদিন কেবল কুর্মিটোলা হাসপাতালেই টিকা দেয়া হবে।
কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, বিএসএমএমইউ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা হাসপাতালে পরদিন বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর কোনোরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তার জন্য প্রতিটি হাসপাতালেই আলাদাভাবে চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এই ভ্যাকসিন ইউকে, ভারতসহ অনেক দেশেই পরীক্ষিত হয়েছে। কোভিড-১৯ এর সব ভ্যাকসিনের তুলনায় অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিন বেশি নিরাপদ। দেশকে ভাইরাসমুক্ত করতে হলে ভ্যাকসিন তো প্রয়োগ করতে হবে। সেখানে যদি এভাবে বাধা দেয়া হয়, গুজব ছড়িয়ে দিয়ে মানুষদের ভুল বোঝানো হয় তাহলে এই মহামারি দেশ থেকে চলে যেতে আরও বেশি সময় নেবে।’
জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ নিয়ে যারা গুজব সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন, যারা অপরাজনীতি করছেন তারা চায় না দেশ থেকে দ্রুত মহামারিটি চলে যাক। এসব গুজব সৃষ্টিকারীদের দেশপ্রেমে ঘাটতি রয়েছে।’
দেশের ভিআইপি ব্যক্তিরা কখন ভ্যাকসিন নেবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ভ্যাকসিন প্রদান প্রক্রিয়াটির সবকিছুই করা হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা বা গাইডলাইন অনুযায়ী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবায় যুক্তদের আগে ভ্যাকসিন দিতে হবে বলা হয়েছে। সরকার সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছে। সঠিক সময়েই ভিআইপিসহ অন্যান্য ব্যক্তিরাও ভ্যাকসিন পাবেন।
তার আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কুর্মিটোলা হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রীর ভ্যাকসিন কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে সেখানকার কার্যক্রমের প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন। এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রমও পরিদর্শন করেন তিনি।
সে সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর / পিকে