বিএনপি রাজনৈতিক দলের চরিত্র হারিয়েছে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি দুস্কৃতিকারী ও দেশের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। যে দলের নেতা লন্ডন থেকে ফোন করে নির্দেশ দেয় গাড়ি-ঘোড়া পোড়ালে, মানুষ পোড়ালে প্রমোশন দেওয়া হবে, সেটি কোনো রাজনৈতিক দল হতে পারে না। যারা মানুষ পোড়ায় সেই সন্ত্রাসীদের সাথে কোনো সংলাপ হতে পারে না। দেশের শত্রুদের সাথে কোনো সংলাপ হতে পারে না।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ‘ফিলিস্তিনে হত্যা ও ইসরাইলি বাহিনীর অনুকরণে দেশে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের মানববন্ধনে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সংলাপ হতে পারে রাজনৈতিক দলের সাথে। আমরা অবশ্যই আলাপ আলোচনায় বিশ্বাসী। আমরা অবশ্যই আলাপ-আলোচনা করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
কিন্তু যারা চোর ডাকাতের চেয়েও জঘন্য, হিংস্র হায়ানার চেয়েও হিংস্র, তাদের সাথে সংলাপ হতে পারে না।’‘যুক্তরাষ্ট্রে ক্যাপিটল হিলে যারা হামলা চালিয়েছিল, তাদের সাথে কি মার্কিন সরকার সংলাপে বসেছিল’ প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘হামলাকারীদেরকে মার্কিন সরকার গ্রেপ্তার করেছে, আইনের আওতায় এনেছে, শাস্তির বিধান করেছে। আজকেও যারা বাংলাদেশে হামলা পরিচালনা করছে তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য জনজীবনে নিরাপত্তা বিধান করা জন্য আমরা কাজ করছি।’তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চরমোনাই পীর সাহেবকে আমি খুব সম্মান করি।
পীর সাহেব দেখলাম, সরকারকে আলটিমেটাম দিচ্ছেন। কিন্তু পীর সাহেব ইসরাইলকে কোনো আলটিমেটাম দেন নাই। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, সেটি নিয়ে তিনি কেন কথা বলেন না, সেটি আমার প্রশ্ন। বাংলাদেশে কয়েকদিনে অগ্নিসন্ত্রাসের পর সন্ত্রাসীদের, তাদের মদদদাতাদের, অর্থদাতাদের ধরতে গিয়ে ৮ হাজার লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে যারা মানবাধিকার সংগঠন বলে দাবি করে আর যারা মানবাধিকারের ব্যবসা করে, তারা বিবৃতি দিল।
গাজায় যে ৮ হাজার মানুষ মারা হলো সেটি নিয়ে কোনো বিবৃতি নাই। এই বিবৃতি ব্যবসা বন্ধ হওয়া দরকার।’বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা এবং প্রচার সম্পাদক লায়ন মুহা. মীযানুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, অভিনেত্রী সংগীতা চৌধুরী, তারিন জাহান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
নদী বন্দর/এসএইচবি