জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকুর সঙ্গে নেপাল ফেডারেল পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানা মাগার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় ইন্দিরা রানা মাগার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাছাই করা জাতীয় সঙ্গীত ‘সোনার বাংলা’ আমার হৃদয়ে রয়েছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের সংসদ ভবন কার্যালয়ে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারি উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার, জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, কৃষি, নারীর ক্ষমতায়ন, সাংস্কৃতিক সাদৃশ্য প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেন, বাংলাদেশের নারী নেতৃত্ব ও নারীর ক্ষমতায়ন বৈশ্বিকভাবে প্রশংসিত। নেপালে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। আমাদের দেশের পর্যটক নেপালে ভ্রমণ করে থাকে। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্যমণ্ডিত অনেক জায়গা রয়েছে। পর্যটনে দুদেশের সহযোগিতা থাকলে খাতটি আরও সমৃদ্ধ হতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি— দুদেশের মধ্যে দ্রুতই সড়ক যোগাযোগও স্থাপিত হবে। এছাড়া মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নিরাপদ প্রত্যাবাসন জরুরি।
নেপাল ফেডারেল পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানা মাগার বলেন, আমি কখনো বাংলাদেশে আসিনি। বাংলাদেশ খুবই চমৎকার দেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাছাই করা জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’ আমার হৃদয়ে রয়েছে। দুদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অনেক মিল রয়েছে। এছাড়া দুদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কও চমৎকার। নেপালের অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পড়ালেখা করছে। দুদেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে চায় নেপালের সংসদ।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু এখন আর কোনও নির্দিষ্ট দেশের সমস্যা নয়। এটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। নেপাল সবসময়ই এ নিষয়ে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে এবং সমর্থন জানিয়ে যাবে।
নদী বন্দর/এসএইচবি