করোনা মহামারির মধ্যে সারাবিশ্বের আমদানি-রফতানি সচল রাখতে কাজ করছেন ২ লাখের বেশি নাবিক। ৩শরও বেশি ফার্ম আর সংস্থা কথা বলছে নাবিকদের পক্ষে। বিশ্বের অর্থনীতি যারা মহামারিতেও সচল রাখছেন, তাদের ভোগান্তি ছাড়া নিরাপদে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা।
গৃহস্থালি সামগ্রী থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী, দিনের পর দিন সমুদ্রে থেকে সারাবিশ্বের ৯০ শতাংশ আমদানি-রফতানি সচল রাখেন এই নাবিকরা।
কিন্তু বিভিন্ন দেশের সরকারই করোনা মহামারির কারণে দেশে ফিরতে দিচ্ছেন না নাবিকদের। শিপিং টাইটান এপি মোলার মার্স্ক, জ্বালানি প্রতিষ্ঠান বিপি এবং শেল, কনজ্যুমার জায়ান্ট ইউনিলিভার, মাইনিং গ্রুপ রিও টিন্টো আর ভ্যালে, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামসহ অন্যান্য সরবরাহ চেইন প্রতিষ্ঠানগুলো একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, যেখানে নাবিকদের স্বার্থ বিবেচনা করে ক্রু পরিবর্তন করে যারা অনেক দিন ধরে সাগরে জাহাজে আছেন, তাদের ফেরত এনে অন্যদের পাঠানো হবে। প্রায় সব দেশকেই এ আহ্বান জানাচ্ছেন তারা।
নেপচুন ডিক্লিয়ারেশন চুক্তির আওতায় যারা এ চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন তারা বিশ্বনেতাদের বলছেন, নাবিকদের সুরক্ষার বিষয়টি সারাবিশ্বে ভ্যাকসিন সরবরাহ করার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। সারাবিশ্বে ১৬ লাখ নাবিকের জীবন জীবিকা এখন হুমকির মুখে। তাদের নিরাপত্তা আর আয়ও হুমকির মুখে পড়তে পারে।
আন্তর্জাতিক চেম্বার অব শিপিং এবং আন্তর্জাতিক জাহাজ মালিক সংস্থা বিমকো বলছে, মার্চেন্ট জাহাজগুলোতে বিভিন্ন পদে কাজ করছেন ১৬ লাখ নাবিক। সাধারণত ১ লাখ নাবিক প্রতি মাসেই রুটিন অনুযায়ী কাজ করেন। দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা করে পুরো সপ্তাহে প্রতিদিনই কাজ করেন। ৪ থেকে ৬ মাস পর ছুটিতে যেতে পারেন তারা।
করোনা সংকট আর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক বাড়তি সময় নাবিকদের সমুদ্রে থাকা লাগছে। কাজের সময় শেষ হয়ে গেলেও তারা ছুটি পাচ্ছেন না। সারাবিশ্বে আমদানি রফতানি বাণিজ্য সচল রাখতে নাবিকদের স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনা করে তাদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা দ্রুত করা উচিত বলে মনে করে আন্তর্জাতিক চেম্বার অব শিপিং। পাশাপাশি তাদেরে জন্য ভ্যাক্সিনেশনের ব্যবস্থা করার দাবি জানায় আইসিএস।
নদী বন্দর / পিকে