প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ১৯৭৫ এর পর ক্ষমতায় এসে ইতিহাস বিকৃত করেছে বিএনপি-জামায়াত। ইউরোপের ১৩টি দেশে আইন আছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা যাবে না। সেটা করলেই সেই আইনে জেল হবে। আপনি যদি ইউরোপে গিয়ে হলোকাস্ট নিয়ে বিকৃতি করেন, আপনার জেল হবে। এটা তাদের আইন। আমরাও সেই আইন করেছি। একাত্তরের স্বাধীনতার চেতনার ইতিহাস বিকৃত করা হলে সেটার সাজা হচ্ছে জেল।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে একটি হোটেলে ‘LIVE: Let’s Talk-তরুণদের মুখোমুখি সজীব ওয়াজেদ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াতের সময় বিশ্বে দুর্নীতিতে বাংলাদেশ ছিল চ্যাম্পিয়ন। সেখান থেকে আমারও অনেক দূর এগিয়ে এসেছি। বাস্তব কথা হচ্ছে, অনেকে এখন দুর্নীতি নিয়ে চিন্তিত, দুর্নীতি নেই আমি অস্বীকার করব না। তবে বাংলাদেশে যদি সেই রকম দুর্নীতি থাকত, আজকে এত দ্রুত সকল প্রজেক্ট করা সম্ভব হতো না। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমরাও চাই না বাংলাদেশে দুর্নীতি থাকুক। বাস্তব কথা, আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রে যান, ইউরোপে যান, নরওয়েতে যান, সেখানে কি দুর্নীতি নেই? অবশ্যই আছে। তবে অনেকটা কম। আমাদের ভবিষ্যতে উদ্যোগ হচ্ছে, আমরা বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করব। আমাদের যত আইন আছে সেগুলোকে শক্তিশালী করব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের যত সার্ভিস ডিজিটালাইজড করছি, এখানে দুর্নীতি সুযোগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শুধু কমছে না, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আগের টেন্ডারের কাগজ নিয়ে অনেক দুর্নীতি, মারপিট হতো, এখন কি এসব কথা শোনা যায়? না, কারণ টেন্ডারের প্রক্রিয়ার সবকিছু ডিজিটালাইজড হয়ে গেছে। এখানে দুর্নীতি করার আর উপায় নেই।
ফরেন পলিসি প্রসঙ্গে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আমরা কারো পক্ষে যেতে চাই না। বাংলাদেশ হচ্ছে একটা স্বাধীন দেশ, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম প্রাধান্য হচ্ছে যে বাংলাদেশের জন্য ভালো কী? আমরা সেটা করব। তবে আমরা সবার সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। ভারত বলেন, চায়না বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেন, রাশিয়া বলেন, ইউরোপ বলেন, সবার সাথে আমরা ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই, বাণিজ্য করতে চাই। আমাদের মূল টার্গেট হচ্ছে বাণিজ্য। কারো পক্ষে গিয়ে বাণিজ্যের ক্ষতি করতে চাই না। আমরা আন্তর্জাতিক আইনে বিশ্বাস করি। আওয়ামী লীগ সরকারের এটাই পলিসি। এটাই আমরা সবসময় মেইনটেইন করব।
বাংলাদেশের তরুণদের কাছে আওয়ামী লীগ জনপ্রিয় দল জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে পরিমাণ উন্নয়ন আওয়ামী লীগ করেছে, এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে হয়নি। আর কেউ কল্পনা করতে পারে না এত অল্প সময় বাংলাদেশে এত এগিয়ে আসবে। এটা একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার করে দেখিয়ে দিয়েছে। তার জন্য তরুণরা আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে।
জয় বলেন, জিয়াউর রহমান আমলে আমাদের একটা কালো দাগ ছিল। আজকে যারা মানবাধিকারের কথা বলে, তারা এই কথা বলে না যে- জিয়াউর রহমানের আমলে বিএনপি তখন বিচার ছাড়া কত শত শত মানুষ হত্যা করেছে! জিয়াউর রহমান স্বৈরাচার ছিল, খুনি ছিল। আমরা বিচার করার চেষ্টা করছি। এটা একটা কঠিন ব্যাপার, কারণ- কোনো রেকর্ড নাই, তারা সব মুছে ফেলেছে। তবে বিচার করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
নদী বন্দর/এসএইচবি