অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লাশের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। ইতোমধ্যেই সেখানে নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে চলা সংঘাত এখনও থামার কোনো লক্ষণ নেই। ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বিমান হামলার বলি হচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজায় এখন পর্যন্ত ২০ হাজার ২৫৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৫৩ হাজার ৬৮৮ জন। অপরদিকে পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছে ৩০৩ জন এবং আহত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৪৫০ জন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারপরই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত চলছেই। গাজার বিভিন্ন স্থানে হামাসকে নির্মূলের অজুহাতে দিন-রাত হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। এতে প্রায় প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারাচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না নারী বা শিশুরাও।
গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ১০১ জন সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। একই সময়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অর্ধ-শতাধিক মিডিয়া অফিস পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংস হয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তাদের অ্যারাবিক ক্যামেরাম্যান সামের আবুদাকাও হামলায় নিহত হয়েছেন।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় জাতিসংঘের এক কর্মীসহ তার পরিবারের ৭০ জনের বেশি সদস্য নিহত হয়েছে। গাজা সিটির কাছে জাতিসংঘের কর্মী ইসাম আল-মুঘরাবি (৫৬), তার স্ত্রী, পাঁচ সন্তানসহ তাদের আরও বেশ কয়েকজন স্বজন ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইউএনডিপির প্রধান আচিম স্টেইনার বলেন, গাজায় আজ আমাদের ইউএনডিপির সহকর্মী এবং তার পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করতে গিয়ে আমি গভীরভাবে শোকাহত। বিমান হামলায় তার পরিবারের ৭০ জনেরও বেশি সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রায় ৩০ বছর ধরে ইসাম আল-মুঘরাবি জাতিসংঘের সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য ইউএনডিপির সঙ্গে কাজ করেছেন। এই সংস্থার একজন প্রিয় সদস্য হিসেবে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
নদী বন্দর/এসএকে