দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকের যেসব প্রার্থীরা নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে যাচ্ছেন সেটি তাদের নিজস্ব দুর্বলতা। এটি দলীয় কোনো ব্যর্থতা না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
সোমবার (০১ জানুয়ারি) দুপুরে নিজের নির্বাচনি এলাকা রংপুর-৩ আসনে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন জিএম কাদের।
এ সময় জিএম কাদের বলেন, রাজনীতিতে প্রতিকূল পরিস্থিতি থাকবে, হুমকি-ধামকি আসবে কিন্তু সেটা সহ্য করার সক্ষমতা থাকতে হবে। যারা অন্তিম মুহুর্তে এসে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন, জনগণ তাদের চিহ্নিত করে রাখবে। কেননা ভোটের মাঠ থেকে সরে গেলে জনগণ মনে করে— ভয়ে পালিয়েছে, নয়ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে আঁতাত করেছে। কোনোটিই শুভ লক্ষণ নয়।
প্রচারণায় ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন এবং নির্বাচনের পরিবেশও সুষ্ঠু রয়েছে বলে জানান জিএম কাদের।
পরে নগরীর গোমস্তাপাড়া, মুন্সিপাড়া, আদালত চত্বরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গণসাংযোগ করেন তিনি। গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রসিক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াছিরসহ স্থানীয় নেতারা।
রংপুর-৩ (সদর) আসনে জিএম কাদের ছাড়াও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আব্দুর রহমান রেজু একতারা প্রতীকে, বাংলাদেশ কংগ্রেসের একরামুল হক ডাব প্রতীকে, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সহিদুল ইসলাম মশাল প্রতীকে, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শফিউল আলম আম প্রতীকে এবং তৃতীয় লিঙ্গের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী ঈগল প্রতীকে লড়ছেন।
এই আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তুষার কান্তি মন্ডলকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ভোটযুদ্ধে জিএম কাদেরসহ ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে সাধারণ ভোটারদের কাছে ‘লাঙ্গল’ ও ‘ঈগল’ রয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আলোচনায়।
আসনটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৪ জন ও পুরুষ ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭২ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২ জন।
নদী বন্দর/এবি