সালাদ হিসেবেই সবচেয়ে বেশি টমেটো খাওয়া হয়। পাকা লাল টমেটো দেখতেও যেমন সুন্দর; খেতেও মজা। কাঁচা কিংবা পাকা দু’ভাবেই টমেটো খাওয়া যায়।
খাবারের স্বাদ বাড়াতে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। তবে টমেটো বেশি খেলে শরীর বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিমিত টমেটো না খেলে শরীরে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এ ছাড়াও এ সবজিতে চার রকমের ক্যারোটিনয়েড বা ভিটামিন এ আছে। এই ক্যারোটিনয়েড বা ভিটামিন এ ত্বক ও চোখের সুস্থতা এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
তবে অবশ্যই পরিমিত টমেটো খেতে হবে। কারণ টমেটোতে থাকা বিভিন্ন উপাদান হজমের সমস্যা থেকে শুরু করে কিডনির রোগ পর্যন্ত হতে পারে। বেশি টমেটো খাওয়ার কয়েকটি পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন-
>> টমেটোতে রয়েছে ম্যালিক ও সাইট্রিক অ্যাসিড আছে। যা পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড বা অম্লের প্রবাহ সৃষ্টি করে। এ কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায়।
>> যারা পেটের পীড়ায় ভোগেন; তাদের অতিরিক্ত টমেটো খাওয়া থেকে দূরে থাকা উচিত।
>> টমেটোতে হিস্টামিন নামের এক ধরনের উপাদান আছে। যা থেকে ত্বকে অ্যালার্জির সৃষ্টি করে। টমেটো অতিরিক্ত খেলে মুখ, জিহ্বা ও মুখের ফোলাভাব, হাঁচি, গলার জ্বালা ইত্যাদি মারাত্মক লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
>> অতিরিক্ত টমেটো খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। কারণ টমেটোতে আছে ক্যালসিয়াম ও অক্সালেট। যা সহজেই শরীর থেকে বের হয় না। এগুলো শরীরে জমা হতে শুরু করলেই কিডনিতে পাথর জমে।
>> বেশি মাত্রায় টমেটো খেলে গেঁটে বাত দেখা দিতে পারে। কারণ এতে সোলানিন নামক বিশেষ অ্যালকালয়েড থাকে। এ যৌগ কোষে ক্যালসিয়াম তৈরির জন্য দায়ী। এ যৌগের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা প্রদাহ তৈরি শুরু করে।
>> টমেটোতে থাকা লাইকোপেন অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরে জমা হলে লাইকোপিনোডার্মিয়া নামের একধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। রক্তে লাইকোপেন বেড়ে গেলে ত্বকের রং বদলাতে শুরু করে। প্রতিদিন ৭৫ মিলিগ্রামের বেশি লাইকোপেন গ্রহণ করা উচিত নয়।
> টমেটোতে সালমোনেলা নামের একধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এটি ডায়রিয়ার জন্য দায়ী।
নদী বন্দর / জিকে