দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য সাত মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কংগ্রেসম্যান জিম বেটস। বৈঠক শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কংগ্রেসম্যান জিম বেটস আজ আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে তাদের মতামত দিয়েছেন। তারা বলেছেন এখানে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, কোথাও কোনোরকম গোলযোগ কিংবা হিংসাত্মক কার্যক্রম হয়নি।
ভোটের শতাংশ নিয়ে তাদের অভিমত হলো, ই-ভোটও পোস্টাল ভোট এবং সরাসরি গিয়ে ভোট দেওয়ার কার্যক্রম, সবমিলিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় অন্তত একমাস সময় লাগে। আট ঘণ্টার মধ্যে এতো লোকের ভোট দেওয়াকে অনেক বেশি প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন তারা।
এরইমধ্যে নির্বাচন নিয়ে তারা সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন। আজ আপনার সঙ্গে দেখা করার কারণ কী ছিল এবং মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে এবারের ভোট অংশগ্রহণমূলক হয়নি। এসব বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলকের ব্যাপারে তারা (পর্যবেক্ষকরা) কথা বলেনি।
তারা বলেছেন যে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। তবে তারা মনে করেন, এখানে (যুক্তরাষ্ট্র) কিছু লবিস্ট ফার্মকে নিয়োগ করা হয়েছে সাত মিলিয়ন দিয়ে। সেগুলো দিয়ে প্রপাগান্ডা প্রচারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
তাদের ধারণা, বাংলাদেশে এরইমধ্যে যে অভূতপূর্ব পরিবর্তন হয়েছে, সেটাকে তারা সমর্থন করেন। এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে, আগে মানুষ অনেক বেশি দুর্ভোগে ছিল, কিন্তু এখন সেটার পরিবর্তন হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা, বলেন মন্ত্রী।
সাত মিলিয়ন ডলার দিয়ে কারা লবিস্ট নিয়োগ করেছেন, সেই কথা কী তারা বলেছেন, জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, এটা সুনির্দিষ্টভাবে তারা বলেননি। আমিও জিজ্ঞাসা করিনি।
নির্বাচনবিরোধী প্রপাগান্ডার জন্য এই অর্থ খরচ হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ, নির্বাচনবিরোধী প্রপাগান্ডা। একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য সাত মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে তাদের বিস্তারিত প্রশ্ন করিনি।
তারা বলেছেন, বিরূপ প্রভাব তৈরি করা হচ্ছে। অর্থাৎ ভিন্নধর্মী কিছু কথাবার্তা প্রচার হচ্ছে। তাদের কাছে তথ্য আছে, কিছু লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে এগুলো করা হচ্ছে, বলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
নদী বন্দর/এসএইচবি