স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘আমরা যদি সবাই সিনসিয়ারলি কাজ করি অসম্ভব কিছু না। পাঁচ থেকে পাঁচশ বেডে (বার্ন ইউনিট) নিয়ে আসতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে। আমি অনেকের কাছে গিয়েছি প্রথম প্রথম। আমাকে অনেকেই ফিরিয়ে দিয়েছে এবং ফাইল ছুড়ে মেরেছে, এরকম ঘটনাও আছে। কিন্তু আমি ধৈর্য ধরে এসেছি। সবার সহযোগিতা পেয়েই এ জায়গায় এসেছি।’
রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রী জীবনের প্রথম দিনে সাংবাদিকদের এমন অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি।
নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমি চেষ্টা করব। ওটা করতে পারলে ঢাকা শহরে শুয়ে (ফ্লোরে) চিকিৎসা নিতে হবে না।
তিনি বলেন, আমি প্রত্যেকটা হাসপাতালে যাব। কী কী সমস্যা আছে, জানব। তারপর আমি একটা কর্মপরিকল্পনা করব।
এসময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সবার কাছেই অনুরোধ, এ মন্ত্রণালয়ে যারা কর্মকর্তা আছেন এবং যারা বাহির থেকেও যারা আছেন, আপনারা যেকোনো সময় যেকোনো কিছু…আপনারা আমার দরজায় কোনো প্রটোকল লাগবে না, আপনারা চলে আসবেন।’
‘আমি আগের মতোই থাকব, আমাকে একটু উপদেশ দেবেন। আপনাদের উপদেশ পেলে আমরা নির্ধারিতভাবে কাজ করতে পারবো।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, একটি মেডিকেল কলেজ খুললেই হবে না। সেখানে চিকিৎসক লাগবে। আমি সবগুলো বিষয় দেখব।
গ্রামে ডাক্তার কেন থাকে না তার কারণ বের করতে হবে। তাদের সাথেও কথা বলতে হবে। সব দেখে আমি ব্যবস্থা নেব, জানান তিনি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সমস্যা হল দুর্নীতি। এটি দূর করতে আপনি কি করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি চেষ্টা করব। দুর্নীতির বিষয় নিয়ে আমার জিরো টলারেন্স থাকবে।
নদী বন্দর/এসএইচবি