গত ১৮ জানুয়ারি প্রতিদিনের মতো কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশে মোটরসাইকেলে রাজধানীর দক্ষিণখানের বাসা থেকে বনানীর যাচ্ছিলেন আকাশ-মিতু নামে এক দম্পতি। বিমানবন্দর সড়কের কাওলা এলাকা অতিক্রমের সময় ইউলুপের কাছে পেছন থেকে তাদের মোটরসাইকেটিতে ধাক্কা দেয় আজমেরী গ্লোরী পরিবহনের বাস। চোখের পলকে এতিম হয় চার বছরের সন্তান আফরা।
রাজধানীর সড়কে প্রতিদিনই ঘটে এমন স্বপ্নের মৃত্যু। বিমানবন্দর সড়কে গত ৩ মাসে প্রাণ গেছে ১৩ জনের।
৮ লেনের সড়ক বিমানবন্দর রোড। প্রত্যেকটি লেনের প্রস্থ ৩ দশমিক ৬৫ মিটার। গতিময় আট লেন ইউলুপের কাছে হয়েছে ৬ লেন। যে গাড়িগুলো ইউলুপ ব্যবহার করে মূল সড়কে যোগ হচ্ছে আর যেগুলো সরাসরি চলছে এই দুই গাড়ির গতিতে রিরাট ফারাক। আবার যারা সরাসরি চলবে তাদের যে লেনে থাকার কথা তা মানছেন না সবাই।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল হক বলেন, ‘যে রোডগুলো সরু, ওই রোডগুলোতে কিন্তু ইউলুপের দাওয়াইটা প্রযোজ্য ছিল না। এই ইউলুপের দাওয়াইটা দিতে হয় যেখানে রাস্তা অনেক চওড়া, সোজা গাড়ির সংখ্যা বেশি, মোড়ের সংখ্যা কম।’
ঢাকায় দুর্ঘটনার আরেকটি ব্লাকস্পট ৪ দশমিক ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার। প্রায়শই ঘটে প্রানহানি।
সড়ক দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠান এআরআই বলছে, গত দু’বছরে ৭ হাজার ১টি দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৭ হাজার ৯১৬ জনের। আর্থিক ক্ষতি ৪৪ হাজার এক হাজার ২৬৪ কোটি টাকা।
যত ট্রিপ তত টাকা নীতি থেকে বেরিয়ে এসে চালকদের চাকরিভিত্তিক নিয়োগের কথা বলছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর।
নদী বন্দর / পিকে