মিয়ানমারের মর্টারশেলে বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন দেখছি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব জলাঞ্জলি দিয়ে মিয়ানমারের মর্টারশেলে বাংলাদেশের জনগণ মারা যাচ্ছে। অথচ সরকার একটি বিবৃতি দেয়নি। একটু প্রতিবাদও করেন না প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কারণ মাথা তো আগেই বিক্রি করে দিয়েছে, যারা মাথা বিক্রি করে তারা কিছুই বলতে পারে না।’
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত শনিবার রাতে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সরকারের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘সরকার ছাত্রলীগকে স্বাধীনতা দিয়েছে যা ইচ্ছে তাই করার আর বেআইনি অস্ত্র দিয়ে যুবদল-ছাত্রদল নেতাকর্মীদের হামলা করার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার নারীর শ্লীলতাহানিকে অবাধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগের জন্য। ২০২০ সালে সিলেটে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে নির্যাতন করা হয়। ওই ঘটনার কোনো বিচার হয়নি। কারণ আদালত তাদের, পুলিশ তাদের।’
তিনি বলেন, ‘বিচার হয় গণতন্ত্রের কথা বললে, মিছিল বের করলে তাদেরকে ধরে নিয়ে বন্দি করে রাখা হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল আজ জেলে। কারণ তারা বক্তৃতায় গণতন্ত্রের কথা বলেছিলেন। আর যুবলীগ-ছাত্রলীগ ক্যাসিনো খুলবে, নারীদের নিজেদের সম্পত্তি মনে করবে।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে জঘন্য ঘটনা ঘটেছে তারপরও কি প্রধানমন্ত্রী আপনার টনক নড়েনি? আপনি (শেখ হাসিনা) ছাত্রলীগকে এক কুৎসিত সংগঠনের পরিণত করেছেন। তাদেরকে দিয়ে আপনি বিশ্বজিৎকে হত্যা করেছেন, আবরারকে হত্যা করিয়েছেন। আর এই কারণে তারা আসকারা পেয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে। এদের কাছে কোনো নারী, শিশু সাধারণ জনগণের কোনো নিরাপত্তা নেই।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়া পরিষদের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাওসার প্রমুখ।
নদী বন্দর/এসএইচবি