আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে কোনো ধরনের মজুতদারি বা কারসাজি করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা আমরা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমন এ বিষয়ে এক প্রশ্ন রাখলে প্রতিমন্ত্রী এ হুঁশিয়ারি দেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রথম কেবিনেট থেকেই দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আন্তঃমন্ত্রণালয় একটি সমন্বয় কমিটির মাধ্যমে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিনিধি আমাদের সাথে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।
এই টাস্কফোর্সের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্নভাবে পণ্য সরবরাহের বিষয়ে গতকালও (শনিবার) প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ে, বিশেষ করে পরিবহন পর্যায়ে যেন কোনো প্রতিবন্ধকতা না হয়, বাজার ব্যবস্থাপনায়ও যাতে প্রতিবন্ধকতা না হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করতে সমন্বিতভাবে আমরা কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি রমজানে নিরবচ্ছিন্নভাবে খাদ্যের সরবরাহ ভোক্তা পর্যায়ে নিশ্চিত করতে পারব। কোনো ধরনের মজুতদারি বা কোনো রকম কারসাজি করার চেষ্টা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আহসানুল ইসলাম বলেন, আমরা আগামী রমজানকে সামনে রেখে পেঁয়াজ ও চিনির ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের এই দুইটি পণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ ছিল। বাংলাদেশকে প্রতিবেশী বন্ধুসুলভ দেশ হিসেবে কনসিডার করে তারা আমাদের রমজানের আগেই পেঁয়াজ ও চিনি রপ্তানির জন্য অনুমোদন দেবে বলে আশা করছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল ভারত থেকে এসেছেন। সেখান থেকে তিনি আশ্বস্ত হয়ে এসেছেন যে, সবকিছুর প্রক্রিয়া চলছে। আমরা আশা করি রমজান শুরুর আগেই আমরা ভারত থেকে এবং বিকল্প অন্য মাধ্যম থেকেও পেঁয়াজ এনে সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারব।
নদী বন্দর/এসএইচবি