দেশের নারীরা তাদের মেধা, প্রজ্ঞা ও সৃজনশীলতা এবং তথ্য প্রযুক্তির দক্ষতার মাধ্যমে ই-কমার্সে বিপ্লব সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়ের জয়িতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নারীরা ঘরে বসে থেকে এখন ক্ষুদ্র পরিসরে উদ্যোক্ত হয়ে উঠেছে। সরকারের ডিজিটাল সেবার বিপ্লবের কারণে অনলাইনের মাধ্যমে নারীরা এখন ক্ষুদ্র ব্যবসার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এটা জয়িতার একটি সাফল্য। বর্তমানে দেশের নারীরা তাদের পরিবারকে আর্থিকভাবে অনেকটা সহযোগিতা করছে। সমাজের নারীরা এখন আর বসে নেই, তারা কোনো না কোনোভাবে অর্থের সংস্থান হলেই কিছু না কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করে। তাদের জন্য প্রয়োজন সুযোগের সমতা। নারীরা কিন্তু বেশি সুযোগ চায় না, তারা কিন্তু সমসুযোগ চায়। ই-কমার্সে নারীদের জয় জয়কার। আমাদের দেশের নারীরা তাদের মেধা, প্রজ্ঞা ও সৃজনশীলতা এবং তথ্য প্রযুক্তির দক্ষতার মাধ্যমে ই-কমার্সের বিপ্লব সৃষ্টি করেছে। দেশে যতে অনলাইন এবং ইকমার্স প্রতিষ্ঠান আছে তাদের মধ্যে নারীরাই কিন্তু পরিচালনা করে আসছে।
তিনি বলেন, প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, সমঅধিকার-সম মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন কৌশল-নীতি ও আইন প্রণয়ন করেছেন এবং তা বাস্তবায়ন করেছেন। যা নারীর ক্ষমতায়নে রোল মডেল সৃষ্টি করেছে এবং সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ১৫৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম, যা এশিয়াতে শীর্ষে। যেখানে ভারতের অবস্থান ১১২তম। এখানেই কিন্তু শেষ নয়। আমেরিকা, জাপান, চীনসহ অনেক পরাশক্তির দেশও বাংলাদেশের পেছনে।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, নারীরা যোগ্যতার সাথে দেশের জন্য অবদান রাখছে। তার প্রমাণ আমার পাশে বসে আছেন সিনিয়র সচিব, দুজন অতিরিক্ত সচিব। এছাড়া নারীরা এসপি, ডিসি, ভিসি, ওসি, নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনীতেও নারীরা উচ্চ পদে বহাল আছেন। তারপরও এ দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী, স্পিকার নারী, সংসদ উপনেতাও নারী, যা সারাবিশ্বে বিরল। পুরুষের তুলনায় নারীরা এগিয়ে আছে। প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি লেভেলে নারী শিক্ষার হার বেশি।
নদী বন্দর / পিকে