নিজ পরিবারের মতো রেলকেও ভালোবেসে সুন্দরভাবে সাজাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে হলো একটি পরিবারের মতো, এখানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেই পরিবারের সদস্য।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঈশ্বরদী লোকসেড পরিদর্শন এবং পাকশী রেলওয়ে কন্ট্রোল অফিস ও বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের কার্যালয় সরজমিনে পরিদর্শন শেষে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের সভা কক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জিল্লুল হাকিম বলেন, প্রাইভেট অরগানাইজেশনগুলো ভালো কাজ করে বিধায় তাদের কখনো লোকসান হয় না। রেলকে নিজের মনে করে আন্তরিকভাবে কাজ করলে, রেল একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। অন্যরা যদি পারে, আমরা কেন রেলের পরিবর্তন করতে পারব না। মানুষ ট্রেনে যাওয়ার সুযোগ পেলে অন্য কোনো পরিবহন ব্যবহার করতে চায় না। আমরা এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে রেলের আয় বৃদ্ধি করতে পারি।
তিনি বলেন, রেলের সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারলে ও আয় বৃদ্ধি হলে রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবনমানের পরিবর্তন হবে। তার জন্য যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে পরিচ্ছন্নভাবে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারে, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ঈশ্বরদী লোকসেড পরিদর্শনের সময় রেলমন্ত্রী বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী বিএনপি আমলে ধ্বংসপ্রাপ্ত রেলকে পুনর্জীবিত করেছেন এবং চেষ্টা করছেন রেলকে সুন্দরভাবে সাজাতে। তার নির্দেশনা অনুযায়ী রেলকে সাজানোর জন্য আমরা কাজ করছি। শ্রমিক সংকট নিরসনের জন্য নতুন লোক নিয়োগ করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে, রেলের উন্নয়নে তাদেরকে কাজে লাগানো হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয় স্মার্ট বাংলাদেশের অংশীদার হওয়ার জন্য কাজ করছে। ওয়ার্কশপগুলোকে আরও কর্মক্ষম ও আধুনিকভাবে সম্প্রসারিত করার জন্য কাজ চলমান রয়েছে।
নদী বন্দর/এসএস