1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
শিগগিরই শহরের যানজট সহনীয় হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী - Nadibandar.com
বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর ঢাকা:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪
  • ২৮ বার পঠিত

শিগগিরই শহরের মানুষ যানজটের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, রমজান মাস শুরুর পর থেকে দুপুর গড়ালেই রাজধানীর সড়কগুলোতে প্রচন্ড যানজট শুরু হয়। এ যানজট আরও তীব্র হতে শুরু করে যখন ঈদ ঘনিয়ে আসে। বিশেষ করে মার্কেট সংলগ্ন রাস্তাগুলোতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে। ১০ মিনিটের পথ ঘণ্টা পেরিয়ে পৌঁছানো যাচ্ছে না।

সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ঈদুল ফিতরে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, ঈদের আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ, সড়ক মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখাসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসে যানজট কিছুটা বাড়ে, এটা সত্য। তবে ঈদ ঘনিয়ে এলে এটা আরও বাড়ে। কারণ ঈদ শপিংয়ের জন্য মানুষ মার্কেটে যান। আবার উন্নয়ন কাজের জন্য কিছু রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ নিরাপত্তা বাহিনী সড়কে রয়েছে। ঈদ সামনে রেখে যানজট কীভাবে সহনীয় রাখা যায় সে বিষয়ে ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে। আশা করি শিগগিরই যানজট কমে যাবে।

রাজধানীতে প্রচুর যানজট, অনেক কারণেই হয়, এর মধ্যে একটি হলো ট্রাফিক পুলিশ রাস্তার মাঝে দাড় করিয়ে গাড়ি চেক করে– এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, এখানে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা রয়েছেন, তারা এ বিষয়ে নিশ্চয়ই নজর রাখবেন।

তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন এখন ঈদের মার্কেটের জন্য বিকেলের পর থেকে পুরো ঢাকা শহর অচল হয়ে যায়। শুধু এক জায়গায় নয়। আমাদের অভিজ্ঞতায় মনে হয় আর দুই-চার দিনের মধ্যে ঢাকা শহরে যানজট কমে যাবে। তবে যানজট চলে যাবে আমাদের ঘরমুখী মানুষের ঢল যেখানে নামবে সেখানে। শহরের যানজট আর চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই কমে যাবে।

৯ এপ্রিল ছুটি হয়নি, তাহলে ঘরমুখো মানুষের চাপ কীভাবে সামাল দেবেন, কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছেন কি না– জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঈদের ছুটি চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে নির্ধারণ হয়। ২৯ রোজা হলে ঈদ ১০ তারিখে হয়। তাহলে ৯ এপ্রিল ঘরমুখো মানুষের প্রচন্ড ভিড় পরবে। আজ কেবিনেটে আলোচনা করে ছুটিটি অপশনাল করা হয়েছে। যারা প্রয়োজন মনে করবেন তারা ৯ তারিখ ছুটি নিতে পারবেন। সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো অপশনাল ছুটি হিসেবে নিতে পারবেন। আর ব্যাংক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো চালু থাকবে।

ধাপে ধাপে ছুটি দেওয়া হবে কি না– জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ শ্রমিক সংগঠনগুলো বসে ছুটির দিকে খেয়াল রেখে তারা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। যাতে ছুটিটা একসঙ্গে না হয়, ধাপে ধাপে ছুটির ব্যবস্থা করবেন।

পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানকে ঘিরে প্রতি বছর আমরা একটা সময় ধরে দিই। হঠাৎ একটা সমস্যা হলে আমাদের পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী সজাগ রয়েছে। পহেলা বৈশাখর দিন মঙ্গল শোভাযাত্রা হোক বা যাই হোক, সেখানে কোনো বাধা নেই। তবে সন্ধ্যার পর সীমিত করে দিতে চেয়েছি, যাতে করে উদ্যানে, রাস্তা ঘাটে, উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান না করে।

নদী বন্দর/এসএইচ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com