1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
প্রস্তাবিত বাজেটে প্রাধান্য পেয়েছে ১৪ কার্যক্রম - Nadibandar.com
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর ঢাকা:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৬ জুন, ২০২৪
  • ২৬ বার পঠিত

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ১১ বিশেষ অগ্রাধিকারের ওপর নির্ভর করে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১৪ কার্যক্রমে প্রাধান্য দিচ্ছে সরকার। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এবারে আমরা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ১১ বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছি। যার মধ্যে রয়েছে- দ্রব্যমূল্য সকলের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো; কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা; আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা; লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি; দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো; ব্যাংকসহ আর্থিক খাতের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা; সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সকলকে যুক্ত করা; আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা; সাম্প্রদায়িকতা এভং সকল ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা; এবং সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।

তিনি বলেন, এ সকল অগ্রাধিকার হবে আমাদের এবারের বাজেটের সম্পদ সঞ্চালনার প্রধান ভিত্তি। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে রূপান্তরিক করতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা, শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য সেবা, তরুণদের প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মসংস্থান এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রাখাসহ ১৪টি কার্যক্রমকে বিশেষভাবে প্রাধান্য দেওয়া হবে। এগুলো হলো-

১. অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা

২. বিজ্ঞান শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উদ্ভাবন সহায়ক শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিতকরণ

৩. কৃষিখাতে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ

৪. মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নত ও সম্প্রসারিতকরণ

৫. তরুণদের প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ

৬. সম্ভাব্য সকল সেবা ডিজিটাইলাইজড করাসহ সর্বস্তরে প্রযুক্তির ব্যবহার

৭. ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন

৮. সামুদ্রিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার

৯. আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ

১০. ২০৩১ সালের মধ্যে অতি দারিদ্র্য নির্মূলকরণ এবং ২০৪১ সালে নাগাদ সাধারণ দারিদ্র্যের হার তিন শতাংশে নামিয়ে আনা

১১. শিল্প স্থাপন ও বিনিয়োগে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতকরণ

১২. জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণ

১৩. জনকল্যাণমুখী, জবাবদিহিতামূলক, দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন গড়ে তোলা এবং

১৪. দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রাখা

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা, এদেশের মানুষকে উন্নয়নের শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছে দেওয়া। বিনিময়ে তিনি প্রত্যাশা করেননি কিছুই। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে যে মহা-পরিকল্পনা করেছেন, তা সমাপ্তে সুযোগ ও সময় পাননি।

সেটি তার কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে। তার নেতৃত্বে আমাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন বিবেচনায় সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশ আজ এক অবাক বিস্ময়। গত দেড় দশকে বাংলাদেশের সামাজিক, আর্থিক, ভৌত অবকাঠামো, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, মানবসম্পদ, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞানসহ সকল ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সংঘটিত হয়েছে তা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত রচনা করেছে।

এএইচ মাহমুদ আলী বলেন, স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সুচিন্তিত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজে হাত দিয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের যে ভিত রচিত হয়েছে, তার উপর নির্ভর করে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ পথে অগ্রসরমান।

নদী বন্দর/এসএইচ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com