টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সঙ্গে বেড়েছে মহারশি, সোমেশ্বরী, ভোগাই, মৃগী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। এখনও এসব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় শেরপুরে ৩০৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে শেরপুরসহ আশপাশের এলাকায় ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। চলমান পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জেলার সীমান্তবর্তী শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শেরপুর সদর উপজেলায় বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে পাহাড়ি ঢলের প্রবল স্রোতে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর কাঁচা বাঁধের কয়েকটি স্থানে ভাঙনের ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় কলা চাষি ও মাছ চাষিরা দুশ্চিন্তায় রয়েছে। ইতোমধ্যে ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীতে জমিতে উঠতে শুরু করেছে ঢলের পানি।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, আমরা ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলগুলো পরিদর্শন করেছি। মহারশির ভাঙা স্থান সংস্কারে স্থানীয় চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এটি পাহাড়ি ঢল, এ পানি দীর্ঘমেয়াদি নয়। এটি নেমে যাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে।
নদী বন্দর/এসএইচ