গত কয়েক দিনের অবিরাম ভারী বর্ষণ এবং সীমান্তবর্তী ভারতের মেঘালয় ও আসামের পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর খালভাঙ্গা ও শ্রীবরদী উপজেলার সোমেশ্বরী নদীতেও ব্যাপকভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ওই এলাকায় এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই তিন উপজেলার অন্তত ৬০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আজ মঙ্গলবার ভোরে ঝিনাইগাতী উপজেলার রামেরকুড়া, খৈলকুড়া, চতল, বনগাঁওসহ কয়েক স্থানে বাঁধ ভেঙে কমপক্ষে ১৫-২০টি গ্রাম পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঢলের পানি প্রবেশ করেছে উপজেলা শহরের প্রধান বাজারসহ বিভিন্ন অফিস ও বাড়ি ঘরে। এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। পানিতে ডুবে গেছে অনেক মৎস্য খামার, পুকুর, বিভিন্ন সবজি ক্ষেত ও বীজতলা।
স্থানীয়রা জানান, মহারশি নদীর ঝিনাইগাতী ব্রিজপাড় থেকে নদীর প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা অবৈধভাবে দখল করে বসতি স্থাপন করায় নদী অনেকটা ভরাট হয়ে গেছে। ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল কবীর রাসেল, সহকারি কমিশনার (ভূমি) অনিন্দিতা রানী ভৌমিক, উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাদৎ হোসেন,ধানশাইল ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্যরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তারা জানিয়েছেন, স্ব স্ব ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পানিবন্দি মানুষের মাঝে শুকনো খাবার দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরবর্তীতে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক অনুদান ও ঢেউটিন প্রদান করা হবে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম বলেছেন, জেলা প্রশাসন বিষয়টি নজরে রাখছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার যে কোন জরুরি বিষয় মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত আছি। সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নদী বন্দর/এসএইচ