পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম (অব.) বলেছেন, আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি নিয়ে জাপানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পঞ্চবার্ষিক ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জাপান পাশে থাকবে। জাপান সবসময় আমাদের সঙ্গে আছে। ভবিষ্যতে নানা উন্নয়নে তারা পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে।
বুধবার (১০ জুলাই) শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরির। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমাদের মধ্যে নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নবম-পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ।
এই বিশাল পরিকল্পনায় জাপানের পলিসি ও বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী জাপান অর্থায়ন করে পাশে থাকবে। জাপান কান্ট্রি অ্যাসিস্ট্যান্স পরিকল্পনা সংশোধন করছে। এই ক্ষেত্রে কোন কোন খাতে সহায়তা দরকার উভয় দেশ মিলে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। সরকারের অগ্রাধিকার অনুযায়ী জাপান পাশে থাকবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জাপানি রাষ্ট্রদূত আমাকে অভিনন্দন জানাতে এসেছেন। বাংলাদেশের দক্ষতা বৃদ্ধিতে জাপান সহযোগিতা দিয়ে আসছে সেটি অব্যাহত রাখতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিশেষ করে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের দ্বিতীয় পর্যায়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। জাপানের অর্থায়নে ৪০ প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। আমরা একটা টেকনিক্যাল বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের যারা বিশেষজ্ঞ আছে তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে।
জানা গেছে, নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকে টার্গেট করে বাংলাদেশের চাহিদা ও জাপানের পলিসি অনুযায়ী সহযোগিতা পরিকল্পনা সংশোধন করছে জাপান। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাটি তৈরি করা হবে। কোভিডের কারণে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
নবম পরিকল্পনায় তা পুষিয়ে নেবে সরকার। ২০২৫ সালের জুলাই থেকে ২০৩০ সালের জুন মাসের মধ্যে নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) এ পরিকল্পনা তৈরি করছে। এই পরিকল্পনার চাহিদা অনুযায়ী সহযোগিতা করতে প্রস্তুত জাপান।
নদী বন্দর/এসএইচ