1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
মিয়ানমারে ২৪ মন্ত্রী বরখাস্ত, জায়গা নিচ্ছেন সেনা কর্মকর্তারা - Nadibandar.com
শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৭ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ১৪২ বার পঠিত

মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের প্রথমে দিনেই অং সান সু চির সরকারের অধিকাংশ মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে নতুন লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নতুন মন্ত্রীদের অধিকাংশই জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং বিবিসি বার্মিজ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সু চি সরকারের অন্তত ২৪ জন মন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নতুন ১১ মন্ত্রীকে।

নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে বেশ কয়েকজনই সেনাসমর্থিত দল ইউএসডিপির সদস্য।

জানা গেছে, ইউএসপিডির অন্যতম নেতা উনা মং লউন হয়েছেন মিয়ানমার জান্তা সরকারের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি গত নভেম্বরের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে জিততে পারেননি।

গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) পেয়ছিল ৮৩ শতাংশ আসন। ২০১১ সালে সামরিক শাসন শেষ হওয়ার পর দেশটিতে এটি দ্বিতীয় নির্বাচন ছিল। এতে এনএলডি ৪৭৬টির মধ্যে ৩৯৬টি আসনে জয় পায়। অন্যদিকে, সেনাসমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি পায় মাত্র ৩৩টি আসন। এই জয়ের মধ্য দিয়ে সু চির দল আরেক দফায় পাঁচ বছরের জন্য দেশ শাসনের সুযোগ পায়।

jagonews24

তবে ভোটের ফলাফল মেনে নেয়নি সামরিক বাহিনী। তারা সুপ্রিম কোর্টে দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং নির্বাচন কমিশনের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এরপর সোমবার সকালে সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে আটক করে অভ্যুত্থান ঘোষণা করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

সকাল থেকে জরুরি অবস্থা জারির পর রাজধানী নেপিদোতে মোবাইল ফোন ও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং রেডিওর প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন মায়াবতির সম্প্রচার চালু রয়েছে। নতুন মন্ত্রীদের নিয়োগের খবরও তারাই প্রচার করেছে।

টেলিভিশনটির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ৮ নভেম্বরের বহুদলীয় সাধারণ নির্বাচনে যে ভোটার তালিকা ব্যবহার করা হয়েছে তাতে গড়মিল পাওয়া গেছে। এ বিষয়টির সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশন।

এতে আরও বলা হয়, ভোটার তালিকা নিয়ে জালিয়াতি করা হয়েছে, যার ফলে গণতন্ত্র নিশ্চিত সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে অস্বীকৃতি জানানো এবং উচ্চ ও নিম্নকক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে পার্লামেন্ট।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী বলছে, এই সমস্যার সমাধান না হলে এটি গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে। আইন অনুযায়ী, এই সমস্যার অবশ্যই সমাধান করতে হবে। একারণে ২০০৮ সালের সংবিধানের ৪১৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। আগামী এক বছর এই জরুরি অবস্থা বহাল থাকবে।

সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা

নদী বন্দর / জিকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com