অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে কৃষকরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য উৎপাদন খরচের সাথে কৃষকের লাভ সমন্বয় করে ধান-চালের দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জন নিয়ে সিরাজগঞ্জ সার্কিট হাউজে আট জেলার জেলা প্রশাসক ও খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ধান-চাল সংগ্রহ করা হয়। এই ধান চাল সরকার ওএমএস ও ভিজিডির মাধ্যমে বিতরণ করে বাজারে খাদ্যের দাম স্থিতিশীল রাখেন।
কৃষকদের প্রনোদনার বিষয়ে বলেন, কৃষকরা বেশিরভাগ ধান বাইরে বিক্রি করে থাকেন। তারা স্বল্প পরিমান ধান-চাল দিয়ে সরকারকে খাদ্য নিরাপত্তা দিতে সহায়তা করে থাকেন। আর সরকারও এমনভাবে দাম নির্ধারন করেন যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
এজন্য চলতি বছরে প্রনোদনার কোন ব্যবস্থা নেই। আগামীতে বিষয়টি নিয়ে সরকার ভাববে। তিনি বলেন, মতবিনিময় সভায় ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ নিয়ে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। আশা করছি কৃষকরা সরকারের কাছে ধান-চাল বিক্রি করে সরকারকে সহায়তা করবে।
চলনবিল অঞ্চলে ব্যাপক হারে পুকুর খনন করায় ফসলী জমি নষ্ট হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ দেশের অর্ধেক খাদ্য উৎপাদন অঞ্চল। কিন্তু অনেকে জমির শ্রেনীর পরিবর্তন করে পুকুর খনন করছে, আবার কেউ নিয়মের তোয়াক্কা না করে খনন করছেন।
তিনি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের জমির শ্রেনী পরিবর্তনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখাসহ প্রয়োজনে আইন প্রয়োগের পরামর্শ প্রদান করেন। এছাড়াও জমির পরিমান কমে যাওয়ায় উচ্চ ফলনশীল জাতের ফসল ফলিয়ে খাদ্যের ঘাটতি পূরণ করা হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রাজশাহী বিভাগী কমিশনার খন্দকার আজিম আহমেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলামসহ ৮ জেলার জেলা প্রশাসক, খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও কুষ্টিয়া জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা অংশগ্রহণ করেন।
নদী বন্দর/এসএইচ