বগুড়ায় হোমিও দোকান থেকে কেনা, বিষাক্ত মদপানে আরো ৭ জন মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত দু’দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪ জনে। গুরুতর অসুস্থ আরো বেশ কয়েকজন। মদ বিক্রিতে অভিযুক্ত ৩টি হোমিও হল মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি দক্ষিণপাড়া। মহল্লার গলিঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবন। এই ভবনে পুনম ও পারুল হোমিও হলের নিচতলায় রয়েছে রেকটিফায়েড স্পিরিটসহ মদ তৈরির উপকরণের গোডাউন। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই দীর্ঘদিন ধরে চলছে রমরমা ব্যবসা।
এলাকাবাসী জানান, গত ৩১ জানুয়ারি রাতে শহরের তিনমাথা এলাকার খান হোমিওপ্যাথি, পারুল হোমিও ও পুনম হোমিও দোকান থেকে মদ কিনে পান করেন ১৫-২০ জন। বাসায় ফেরার পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। একের পর একজনকে নেওয়া হয় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মঙ্গলবার পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ১৪ জনে। লোকলজ্জার ভয়ে হাসপাতালে না গেলেও গুরুতর অসুস্থ আছে বেশ কয়েকজন।
ঘটনার পর থেকে পলাতক খান হোমিও হলের মালিক শাহিনুর রহমান, পারুল হোমিও হলের মালিক নূর মোহাম্মদ ও পুনম হোমিও হলের মালিক নুরুন্নবী। তারা হোমিও ওষুধের আড়ালে প্রকাশ্যেই অবৈধ মদের ব্যবসা করত বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় হোমিও হল তিনটির মালিককে আসামি করে মামলা করেছে। তবে এখনও গ্রেফতার হয়নি কেউ।
বগুড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃতদের ৯ জনের বাড়ি বগুড়া সদরে আর কাহালু ও শাহজাহানপুরের রয়েছেন একজন করে। মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত শেষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ।
নদী বন্দর / পিকে