বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে করা আল জাজিরার প্রতিবেদনটিকে হলুদ সাংবাদিকতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এটিকে ভিত্তিহীন, সন্ত্রাসী মদদপুষ্ট ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, একটি বিশেষ গোষ্ঠী নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে এটি করেছে। বাংলাদেশকে হেয় করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এমন প্রতিবেদন করা হয়েছে।
সম্প্রতি মদ খেয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে বেশ কয়েকজন মারা গেছেন। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভেজাল মদ পান না করার আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনার কারণে মদ আমদানি বন্ধ; যে কারণে ভেজাল মদের উৎপাদন বাড়ছে। যারা মদ্যপান করেন, তারা ভেজাল মদ পান করবেন না।
এর আগে, আল জাজিরার সংবাদকে ভিত্তিহীন ও সন্ত্রাসী মদদপুষ্ট বলে দাবি করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনটিকে ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অরাজকতা তৈরির উদ্দেশ্যে অপপ্রচার হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংবাদটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্মের আগে থেকে মুক্তচিন্তা ও প্রগতিশীলতার বিপক্ষে থাকা শক্তি জামায়াত-ই-ইসলামীর মতো সন্ত্রাসী দলের প্রচারণার অংশ মাত্র। এটি এক ধরনের সন্ত্রাসী গ্রুপ এবং লন্ডনসহ অন্যান্য স্থানে তাদের সহযোগীদের ষড়যন্ত্রের অংশ। দেশের উন্নয়ন এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করার নীল নকশা হওয়ায় এ প্রতিবদনকে প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার।
আল জাজিরার সংবাদটিতে মুক্তিযুদ্ধে রাজাকারদের হাতে বাঙালি জনতার বিরুদ্ধে জেনোসাইড ও দুই লাখ নারীকে ধর্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা হয়নি বলেও সমালোচনা করা হয়। এছাড়া, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্তদের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে ডেভিড বাগম্যানের বিরোধিতার উল্লেখ করে এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের সংবাদ হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বরতদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করাকে সংবাদ মাধ্যমটির দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বলা হয়, বেশ আগে থেকেই আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর পৃষ্ঠপোষকতায় জামায়াত-ই-ইসলামী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
নদী বন্দর / এমকে