নির্দিষ্ট সময়ের দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও সুনামগঞ্জের অনেক হাওরে বোরো ফসল রক্ষায় বাঁধ নির্মাণ কাজ এখনও শুরু হয়নি। ফলে হঠাৎ পাহাড়ি ঢল আসছে বৃষ্টির মৌসুমে ফসল তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বন্যার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার দাবি, অধিকাংশ বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন সুনামগঞ্জের ১১ উপজেলায় ৫২টি হাওর রয়েছে। এসব হাওরের দুই লাখ ২৩ হাজার ৩০০ হেক্টর বোরো জমির ফসল রক্ষায়, ৬১২ কিলোমিটার বাঁধ সংস্কার ও মেরামতের জন্য সরকারের কাছে ১২৬ কোটি টাকার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। যার অনুকূলে প্রাথমিকভাবে ৬২ কোটি টাকা অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু এখনও অনেক বাঁধে শুরু হয়নি মেরামত কাজ। স্থানীয় কৃষক সংগঠনের নেতাদের অভিযোগ, বাঁধের নামে চলছে হরিলুট। প্রতিটি বাঁধের পেছনে রয়েছে দুর্নীতি ও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ।
হাওর পাড়ের কৃষকরা বলেন, এখন থেকে যদি কাজ না করে তাহলে কৃষকরা তো ঝুঁকির মধ্যে থাকবে। হাওরের পানি এসে আক্রমণ করবে আর ধানগুলো সব নষ্ট হয়ে যাবে। বাঁধটি যদি আগে নির্মাণ হয়ে যায়, তাহলে আমাদের ধানগুলো রক্ষা হবে।
সুনামগঞ্জের হাওর বাঁচাও আন্দোলন এর সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, বাঁধগুলো নির্মাণের জন্য অনেক বেশি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাঁধের কাজে অতিরিক্ত বরাদ্দের পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাবিবুর রহমান জানান, ৫০০ এর বেশি পিআইসির কাজ চলমান রয়েছে। বন্যার পানি নামতে দেরি হওয়ায় পিআইসি গঠন ও বাঁধের কাজও কিছুটা দেরি হয়েছে। গত বছর সুনামগঞ্জ জেলায় পরপর চার দফায় বন্যা হওয়ায় পিআইসি গঠন করতে একটু দেরি হয়েছে। তবে আশা করা যায় খুব তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করতে পারবো।
আগাম বন্যা প্রতিরোধে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে ভুক্তভোগীরা।
নদী বন্দর / জিকে